জেলা তৃণমূল সভাপতির কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের ভিড়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় asitkatwaabp@gmail.com
মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলেও গত কয়েক দিনে দল প্রার্থিতালিকা প্রকাশ না করায়, উদ্বেগ বাড়ছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে। বুধবার জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরে দিনভর ভিড় জমল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। কেউ এলেন ধন্যবাদ জানাতে, কেউ আবার তালিকায় নাম সংযোজনের দরবার নিয়ে।
বুধবার সকাল থেকেই কাটোয়ার স্টেশন বাজারে জেলা তৃণমূল সভাপতির কার্যালয়ে ভিড় জমান জেলার নানা স্তরের নেতা-কর্মীরা। কেউ এসেছিলেন তাঁর বা ঘনিষ্ঠদের টিকিট পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে। আবার কেউ তালিকায় তাঁদের নাম আছে কি না, আগাম জানতে। কেউ প্রার্থী হতে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চালাতে। দুপুর পর্যন্ত তিলধারণের জায়গা ছিল না কার্যালয়ের সামনে। মোটরবাইক থেকে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। ভিড়ের চোটে অফিসে ঢুকতে অনেকেই অসুবিধায় পড়েন।
যদিও জেলা সভাপতির কার্যালয়ের কর্মীদের দাবি, মনোনয়নের ফর্ম পূরণ-সহ নানা কাজের সাহায্য নিতেই ভিড় হয়েছিল।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ মঙ্গলকোট থেকে বেশ কিছু দলীয় কর্মী গাড়িতে করে জেলা সভাপতির কার্যালয়ে আসেন। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কার্যালয়ের হলঘরে বসে থাকতে দেখা যায়। অন্য ব্লক থেকে আসা কর্মীদের ভিড় কিছুটা কমতেই কার্যালয়ের লোকজনের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেন, টিকিট পাওয়ার তালিকায় নাম আছে কি না। আবার কোনও কোনও ব্লক থেকে আসা কর্মীরা জেলা সভাপতির সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে টিকিটের বিষয়ে আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মঙ্গলকোটের এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘নবজোয়ার যাত্রায় আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ব্যালট বাক্সে জমা পড়েছে। কারা প্রার্থী হচ্ছেন জেলা সভাপতি তো জানবেনই। তাই কৌতূহল মেটাতে এ দিন সকালে সোজা জেলা সভাপতির কার্যালয়ে চলে এসেছি।’’ একই কথা বলতে শোনা গেল ভাতার, পূর্বস্থলী, মন্তেশ্বর থেকে আসা তৃণমূল কর্মীদের মুখেও।
জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘‘কে প্রার্থী হবেন, তা দল ঠিক করে। কর্মীদের জানার আগ্রহ তো থাকবেই। আমাদের অফিসে প্রতিদিনই ভিড় হয়। মনোনয়নের নানা কাজের জন্য হয়তো এ দিন বেশি ভিড় হয়েছিল।’’