হেলমেট ছাড়া পাম্পে তেল নিতেও আসছেন বাইক চালকেরা। নিজস্ব চিত্র
সচেতনতা অভিযান, ধরপাকড়, পেট্রল পাম্পে তেল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত— মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করতে নানা পদক্ষেপ হয়েছে। তা সত্ত্বেও গত এক বছরে জেলায় যত দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন হেলমেট না থাকা বাইক আরোহীরা, দাবি পুলিশের।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মোটরযান আইন ১৯৮৮’-এর ১২৯ ধারা অনুসারে, মোটরবাইক চালানোর সময়ে একমাত্র শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়া সকলের ক্ষেত্রে হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। হেলমেট মাথায় না থাকলে পরিবহণ দফতর ১৭৭ ধারায় ‘স্পট ফাইন’ করতে পারে। হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহীকে ধরে পুলিশ আদালতেও পাঠাতে পারে। তবে ধরপাকড়ের চেয়ে বেশি জরুরি সচেতনতা গড়া, এমনটাই মনে করে প্রশাসন। সে জন্য নানা ভাবে সচেতনতা গড়ার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের তরফে বিনামূল্যে বাইক আরোহীদের হেলমেট বিলি করা হয় মাঝে-মাঝেই। হেলমেট ছাড়া পেট্রল পাম্পে তেল না মেলার নিষেধাজ্ঞা জুলাইয়ে ফের জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তা সত্ত্বেও হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না, জানিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি পুলিশ, পরিবহণ দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। জেলাশাসক জানান, গত দু’বছরের তুলনায় চলতি বছরে দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং জখম ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে উদ্বেগের বিষয়, এই সব দুর্ঘটনার অধিকাংশ ঘটেছে হেলমেট না পরে মোটরবাইক চালানোর জন্য। নির্দিষ্ট সংখ্যা না জানানো হলেও প্রায় ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘হেলমেট না থাকা বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি চলছে। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে, বাইক আরোহীদের একাংশ হেলমেট পরছেন না। নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, ২ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ামতপুর, বোগড়ার মতো কিছু এলাকায় ‘ব্ল্যাকস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনা রুখতে অবিলম্বে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।