কালনা মহকুমা হাসপাতাল।—ছবি সংগৃহীত।
হাসপাতালের মহিলা বিভাগে রোগী দেখার সময় পুরুষদের বাইরে যেতে বলেছিলেন চিকিৎসক। অভিযোগ, তখনই ‘আত্মীয়কে দেখতে যাব’ বলে জোর করে ঢুকতে যান এক যুবক। বাধা দেওয়া হলে নিরাপত্তারক্ষী, কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে ওই চিকিৎসকের পাশে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরব হলেন কালনা হাসপাতালে আসা অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এনআরএস-কাণ্ডের জেরে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল, ডাক্তার-রোগী সম্পর্ক নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছিল, এ দিনের ঘটনা প্রমাণ করল বিশ্বাসটা রয়েছে।
কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘রোগীর আত্মীয়রা চিকিৎসকের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করছেন, কেউ দুর্ব্যবহার করলে পাশে দাঁড়াচ্ছেন এটা খুবই ভাল দিক। পারস্পরিক বিশ্বাস থাকলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াটাও সহজ।’’
কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ মহিলা মেডিসিন বিভাগে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক কুণাল হালদার। রোগী দেখার সময় পুরুষ সদস্যদের বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই লিচুতলা এলাকার এক যুবক ওই ওয়ার্ডে ভর্তি আত্মীয়কে দেখতে যাবেন বলে জোর করে ঢুকতে যান। তাঁকে বাধা দেওয়া হলে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসক কুনালবাবু ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে এলে তিনি উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসকদের মারধর করাকে সমর্থন করেও বলে অভিযোগ। অপমানিত বোধ করেন ওই চিকিৎসক। এ রকম পরিস্থিতি চললে রোগী দেখা কী ভাবে সম্ভব, প্রশ্ন করেন তিনি। হাসপাতালের দাবি, এর পরেই তাঁর পাশে দাঁড়ান অন্য রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁরা চিকিৎসককে জানিয়ে দেন, ওই যুবকের বক্তব্যের সঙ্গে তাঁরা সহমত নন। ঘটনার নিন্দা করা হয়। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।