Life risk of passengers

লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ফেরি পারাপার, আশঙ্কা

দামোদর বয়ে গিয়েছে বুদবুদের রণডিহার পাশ দিয়েই। এক দিকে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান। অন্য দিকে বাঁকুড়া সোনামুখী থানা এলাকার রাধামোহনপুর, ফকিরডাঙা, রাঙামাটির মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৮
Share:

ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। রণডিহায়। —নিজস্ব চিত্র।

সহজে বাঁকুড়া যেতে বহু মানুষ দামোদর নদের জলপথকে বেছে নেন। নৌকা করে সামান্য পথ পার হলেই বাঁকুড়া যাওয়া যায়। বিভিন্ন ফেরিঘাটের মাধ্যমে এই যাতায়াত চলে। তেমনই একটি ফেরিঘাট রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের রণডিহা এলাকায়। তবে এই ফেরিঘাটের পরিকাঠামো নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। আবার নৌকায় পারাপারের সময়ে যাত্রীদের কাছে থাকে না ‘লাইফ জ্যাকেট’ও। গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisement

দামোদর বয়ে গিয়েছে বুদবুদের রণডিহার পাশ দিয়েই। এক দিকে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান। অন্য দিকে বাঁকুড়া সোনামুখী থানা এলাকার রাধামোহনপুর, ফকিরডাঙা, রাঙামাটির মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। প্রতিদিন বর্ধমানের দিক থেকে বহু মানুষ নানা কাজে দামোদর পেরিয়ে ওই সব এলাকায় যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জলপথে বাঁকুড়ার ওই সব জায়গায় খুব সহজেই পৌঁছনো যায়। ঘুরপথে যেতে হলে, দুর্গাপুর হয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা যেতে হয় তাঁদের। কাজেই নদ পেরিয়ে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গেলেই গন্তব্যে পৌঁছনো যায় বলে দাবি।

প্রতিদিন রণডিহার ফেরিঘাট থেকে একটি নৌকা চলে। নিত্যযাত্রীরা জানান, ভোর থেকেই নৌকায় পারাপার শুরু হয়ে যায়। তাঁদের ক্ষোভ, কিন্তু এই ফেরিঘাটে কোনও পরিকাঠামো নেই। বসার কোনও জায়গা নেই। কাজেই বর্ষার দিনে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। তা ছাড়া অনেকে মোটরবাইক পারও করেন এই ফেরিঘাট দিয়ে। নিত্যযাত্রী অনিমা চক্রবর্তী, মধুসূদন মণ্ডলেরা বলেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট। কাজেই এই ফেরিঘাটের পরিকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি।” যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, নৌকায় পারাপার করার সময়ে কোনও লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় তাঁদের। যে কোনও দিন বিপদ ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। যদিও নৌকার এক মাঝি দাবি করেন, আগে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নৌকায় ওঠানো হত না। কিন্তু বহু যাত্রী লাইফ জ্যাকেট পরতে অনীহা দেখানোয়, আস্তে আস্তে সে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রশাসনের তরফে যাত্রী ও মাঝিদের জন্য লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “নৌকায় পারাপারের সময়ে যাতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ফেরিঘাটটির উন্নয়নের বিষয়েও পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement