Bardhaman

অডিট শেষ হতেই পঞ্চায়েত অফিসে চুরি! তালা ভেঙে নয়ছয় নথি, গায়েব সিসিটিভির হার্ডডিস্কও

পঞ্চায়েতের কর্মী প্রদ্যুৎ সাঁতরা সকালে প্রধানের কাছ থেকে চাবি এনে যখন অফিস খুলতে যান, তখন দেখেন এক তলায় মূল গেটের তালা ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফিরে গিয়ে প্রধানকে খবর দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৮
Share:

চুরির পর লণ্ডভণ্ড ভাতারের সেই পঞ্চায়েত অফিস। —নিজস্ব চিত্র।

অডিটের (হিসাবের) কাজ শেষ হওয়ার পরই চুরি হল পঞ্চায়েত অফিসে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। মাত্র দিন তিনেক আগে গ্রাম পঞ্চায়েতে বার্ষিক অডিটের কাজ শেষ হয়েছে। তার পরেই ভাতার থানার বলগোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে ঘটে গেল দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। সোমবার রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে অফিস খুলতে গিয়ে তা নজরে পড়ে এক পঞ্চায়েতকর্মীর। তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। যদিও পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঠিক কী কী চুরি গিয়েছে, তা এখনও সম্পূর্ণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

ভাতারের বলগোনা রেলস্টেশনের কাছাকাছি বলগোনা গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়। দোতলা ওই পঞ্চায়েত ভবনের উপরতলায় রয়েছে পাশাপাশি চারটি ঘর। তার মধ্যে একটি প্রধানের এবং আর একটি উপপ্রধানের। বাকি দুটি ঘরে অন্য কর্মীরা কাজ করেন। উপপ্রধানের ঘর এবং বাকি তিনটি ঘরে মোট ১২টি ছোট এবং বড় আলমারি আছে। পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আটটি সিসি ক্যামেরাও আছে। সেগুলির হার্ডডিস্ক ছিল প্রধানের ঘরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের কর্মী প্রদ্যুৎ সাঁতরা সকালে প্রধানের কাছ থেকে চাবি এনে যখন অফিস খুলতে যান, তখন দেখেন এক তলায় মূল গেটের তালা ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফিরে গিয়ে প্রধানকে খবর দেন। পঞ্চায়েত অফিসের বেশ কাছেই পঞ্চায়েত প্রধান লায়লা বেগম চৌধুরীর বাড়ি। তিনি খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখেন মূল দরজার পাশাপাশি দোতলার চারটি ঘরেরই তালা ভাঙা। সবগুলি আলমারির লণ্ডভণ্ড দশা। ঘরের জিনিসপত্র তছনছ হয়ে রয়েছে। পাশেই পড়ে রয়েছে ভাঙা তালা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। লায়লা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ঠিক কী কী চুরি গিয়েছে, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে অনেক নথি চুরি গিয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছি।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধানের ঘরে যে টেবিল ছিল, তার ড্রয়ারও ভাঙা হয়েছে। তার ঘর থেকে বেরনোর সময় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে পালিয়েছে তারা। এ ছাড়া বাকি তিনটি ঘরের মোট নয়টি আলমারি খুলে নথিপত্র নয়ছয় করেছে তারা। তিনটি আলমারির চাবি খুঁজে বার করে তারা। বাকি আলমারিগুলোর ‘লক’ ভেঙে জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে। এই চুরির ঘটনা নিয়ে ভাতার থানার ওসি অরুণকুমার সোম বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে পুরোদমে চলছে। এখনও বোঝা যাচ্ছে না এই চুরির পিছনে ঠিক কাদের হাত রয়েছে। তবে চেষ্টা চলছে।’’ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অবশ্য পঞ্চায়েত অফিসে চুরির ঘটনায় গ্রেফতারির কোনও খবর নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement