এমনই হাল নদীর। নিজস্ব চিত্র।
গরমে শুকিয়েছে কুনুর নদী। নদী সেচ প্রকল্প (আরএলআই) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন আউশগ্রাম ২ ব্লকের কয়েকটি গ্রামের বোরো ধান চাষিদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সেচের অভাবে জমি ফেটে যাচ্ছে। পাকা ফসল ঘরে তোলার মুখে বৃষ্টির অপেক্ষায় হা-পিত্যেশ করে বসে আছেন তাঁরা। ধান বাঁচাতে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ারও দাবি উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের দেবশালা, অমরপুর এলাকার লবণধর, দেবশালা, রাকোনা, পরিশা, জিজিরা, রাঙাখুলা, দেবশালা, মৌকোটা, জালিকাঁদর, গেঁড়াইয়ের মতো কিছু এলাকায় সরকারি ভাবে কুনুর নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে নদী তীরবর্তী জমিতে চাষাবাদ করা হয়। কৌশিক মণ্ডল, বরুণ ঠাকুরা, সুভাষ খাঁ, স্বপন মণ্ডল, সাহাদত হোসেন মোল্লা, একরাম শেখদের মতো চাষিরা জানান, নদীর জলের উপরে ভরসা করে প্রতি বছর এলাকায় কয়েক’শো বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়।
এ বছর নদী পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ায় পাম্পের মাধ্যমে সেচ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শ্যালো পাম্পেও জল উঠছে না। অথচ এখনও দু-একবার ধানের জমিতে সেচের প্রয়োজন রয়েছে। চাষিদের দাবি, এখন ধানে ফুল আসার সময়। এই সময় সেচ না পেলে ধানের শিস সাদা হয়ে যাবে। ফলন ঠিকমতো হবে না। ধান পুষ্ট না হয়ে হালকা হবে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, আশঙ্কা তাঁদের। তাঁরা জানান, সেচের অভাবে কিছু জমির মাটি ফাটতে শুরু করেছে। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে ধান গাছের ক্ষতি হচ্ছে। ধান বাঁচাবেন কী ভাবে, চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
তাঁদের দাবি, কিছু চাষি সমবায় সমিতি বা অন্য কোনও জায়গা থেকে ঋণ করে ধান চাষ করেছেন। ধানে ক্ষতি হলে বিপদ বাড়বে। নদীতে জল না থাকায় গবাদি পশুরাও জল খেতে পারছেন না বলে জানান তাঁরা।
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা নকুলচন্দ্র মাইতি বলেন, “এখন জেলায় অনেক জায়গাতেই পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন চাষিরা। ওই এলাকায় কী পরিস্থিতি, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।” বিডিও (আউশগ্রাম ২) চিন্ময় দাস বলেন, “বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’