বর্ধমানে লকেট। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করলেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। রবিবারবর্ধমানে বৈঠকটি হয়। বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের গোদার মাঠে প্রশাসনিক সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে এ দিন বর্ধমানে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সভার বহর ও সভায় লোক আনার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ তথা দলের তরফে রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি নিয়ে তৃণমূলের ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ, প্রদীপ মজুমদার, বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়েরা। তৃণমূল সূত্রের খবর, সভার বিষয়ে অন্য জেলার সঙ্গে সমন্বয়, জেলার নানা প্রান্ত থেকে কী ভাবে লোক আনা হবে, সে সব নিয়ে বৈঠক আলোচনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য খরচ নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এ দিন বর্ধমানে এসে বিজেপি নেত্রী লকেটের দাবি, ‘‘বিধানসভা ভোটের আগেও দেখা গিয়েছে, প্রতিটি বিধানসভায় গিয়ে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) সভা করেছেন এবং সবার সামনে, ক্যামেরার মাধ্যমে সবাইকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, উনি কত সৎ, বাকিরা অসৎ। এগুলো শুধু ভুল বোঝানোর চেষ্টা যে, আমি নিজে সৎ এবং আমাকে দেখে সবাই ভোট দিন। এ ভাবে মানুষের কাছে একটি মুখোশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মানুষ বুঝে গিয়েছেন, ভোট এলে এই ধরনের সভা হামেশাই করে থাকেন উনি।’’ পঞ্চায়েত ভোট ঠিক ভাবে হলে মানুষ এর জবাব দেবেন, দাবি তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক আসা নিয়ে লকেটের অভিযোগ, ‘‘নির্দেশ জারি করা হয়, সভায় না গেলেদোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আশাকর্মীদের পর্যন্ত সবার আসা বাধ্যতামূলক করা হয়। এর কারণ, সাধারণ মানুষ নিজেরা আসবেন, সে ভরসা তো নেই। তাই টাকা দিয়ে, সরকারি কর্মীদের ধমক দিয়ে লোক আনার চেষ্টা হচ্ছে।’’
লকেটের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রী গোড়াথেকেই বৈঠক করে আসছেন জেলায়-জেলায়। বিরোধীরা পায়ের তলায়মাটি না পেয়ে এ সব অবান্তর অভিযোগ তুলছে।’’