রাতের দিকে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। নিজস্ব চিত্র।
অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আন্দোলন চলাকালীন এক ছাত্র গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। বিক্ষোভরত পডুয়াদের ছত্রভঙ্গ করতে শুক্রবার রাতে আলো নিভিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন পডুয়া আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাস্তা অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। পুলিশ এসে তাঁদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল অনলাইনে পরীক্ষা হবে। কিন্তু শুক্রবার সকালে কলেজে এসে পডুয়ারা দেখতে পান অফলাইন পরীক্ষার নোটিস টানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশে খবর দেন কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভ চলাকালীন এক ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবর্নির্মিত ভবনে উঠে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও পড়ুয়ারা ছুটে গিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে নীচে নামিয়ে আনেন। উপচার্য পডুয়াদের সঙ্গে দেখা করছেন না বলেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন ওই পডুয়া।
রাতের দিকে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। আন্দোলনকারীদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ আলো নিভিয়ে দেয়। তার পর জোর করে ক্যাম্পাস থেকে তাঁদের বার করে দিতে শুরু করে পুলিশ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে। বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হন বলে অভিযোগ। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরও পুরুষ পুলিশকর্মীরা ধাক্কা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি।
অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংহ। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও পুলিশের এই মারধরের নিন্দা করেছেন। তিনি এ নিয়ে একটি টুইটও করেন।