প্রতীকী ছবি।
এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রানিগঞ্জের বাঁশরা ৪ নম্বর ভুঁইয়াপাড়ায় রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। বছর চোদ্দোর মেয়েটি বাড়ির অদূরে শৌচকর্ম করতে গেলে, পড়শি ওই ব্যক্তি তার উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে, এলাকার নানা বাড়িতে শৌচাগার না থাকা নিয়ে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।
ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মেয়েটি বাড়ির কাছে একটি ডোবার ধারে গিয়েছিল। তখনই গুলচাঁদ ভুঁইয়া নামে ওই পড়শি তার মুখ চেপে ধরে পাশে একটি পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিতে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করার পরে তাকে ফেলে রেখে পালায় বলে অভিযোগ। মেয়েটি কোনও রকমে বাড়ি ফেরে।
ওই নাবালিকার মা অভিযোগ করেন, মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা তাঁকে জানায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানালে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আমরাসোঁতা ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়। সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য মেয়েটিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।
এই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ও বিরোধী দলগুলির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, রানিগঞ্জ ব্লককে ‘নির্মল’ ঘোষণা করা হলেও সব বাড়িতে শৌচাগার হয়নি, তা এই ঘটনায় সামনে এসে গিয়েছে। সিপিএম পরিচালিত আমরাসোঁতা পঞ্চায়েতের সদস্য লক্ষ্মী হেমব্রম দাবি করেন, পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় চারশো পরিবারের শৌচাগার নেই। পঞ্চায়েতের তরফে বারবার শৌচাগার তৈরির আবেদন জানানো হলেও ফল হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের নিনেশ বাউড়িরও অভিযোগ, ‘‘একাধিক বার ব্লক প্রশাসন থেকে এলাকায় সমীক্ষা করা হলেও কাজের কাজ হয়নি। এর আগে এক বার একই রকম ভাবে বাইরে শৌচকর্ম করতে গিয়ে এক জন খুন হয়েছিলেন।”
রানিগঞ্জের বিডিও অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘আগে ওই পঞ্চায়েতের তরফে ষাটটি পরিবারের তালিকা দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতকেই শৌচাগার তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ফের ১০০টি পরিবারের তালিকা দেয় পঞ্চায়েত। সেগুলি অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন এলেই কাজ হবে। পঞ্চায়েতের তরফে আরও তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’