— প্রতীকী চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পর ভাতার। এ বার দিনের আলোয় রাস্তা থেকে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে টেনে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তেজনা এলাকায়। নির্যাতিতার চিৎকার শুনে পাড়ার কয়েক জন দৌড়ে গিয়েছিলেন। লোকজন দেখে পালায় অভিযুক্ত। পরে নির্যাতিতার বাবা ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে যখন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে, তার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের খবর দিয়েছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ভাতারেরই বাসিন্দা। অভিযোগ, পাশের গ্রামের এক ২১ বছরের প্রতিবন্ধী তরুণীকে সে ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতার বাবা দিনমজুর। মা গৃহবধূ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর বাবা সকালে মাঠে কাজে চলে যান। মা পাশের মুদির দোকান থেকে কিছু জিনিস কিনতে পাঠিয়েছিলেন মাকে। সকাল সাতটা নাগাদ দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে ফিরছিলেন ওই যুবতী। একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক যুবক প্রতিবন্ধী তরুণীকে টেনেহিঁচড়ে পরিত্যক্ত দালানবাড়ির গায়ে টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরের বারান্দায় নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তরুণী চিৎকারের চেষ্টা করলে তাঁর মুখ চেপে ধরে রাখা হয়। তবে তাঁর গোঙানির শব্দ পেয়েছিলেন পাশের বাড়ির দুই বধূ। তাঁরা চলে আসায় অভিযুক্ত দৌড়ে পালায়। পাড়ার লোকজন তাকে তাড়া করলেও ধরতে পারেননি। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তের বাবা-মা, দু’জনেই মানসিক রোগী। একাংশের দাবি, অভিযুক্তও মানসিক ভাবে অসুস্থ।
পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া মাত্র অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় একটি জায়গা থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কাটোয়ার একটি গ্রামে সাড়ে চার বছরের শিশুকে ভুট্টা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই দিন গভীর রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরজি কর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। তার মধ্যেই কাটোয়া এবং ভাতারে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।