মৃত দিয়া মণ্ডল। — ফাইল চিত্র।
কাঁকসা থেকে বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়তে গিয়েছিলেন তরুণী। রান্নার কাজ করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতেন বাবা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে হস্টেলের ঘরে সেই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। বাবার দাবি, এক যুবক উত্ত্যক্ত করতেন তরুণীকে। সে কারণেই আত্মহত্যা কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভিন্রাজ্য থেকে কী ভাবে মেয়ের দেহ ফিরিয়ে আনবেন, তা নিয়ে উদ্বেগে পরিবার।
মৃতার নাম দিয়া মণ্ডল। বয়স ২০ বছর। তিনি কাঁকসার গোপালপুরের সত্যনারায়ণ পল্লীর বাসিন্দা। দু’বছর আগে বেঙ্গালুরুতে মাদার টেরেসা গ্রুপ অফ ইন্সটিটিউশনে নার্সিং পড়তে গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কাঁকসার বাড়িতে ফোনটি আসে। ফোন করেন দিয়ার এক সহপাঠী। তিনিই পরিবারকে দিয়ার আত্মহত্যার কথা জানান। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। এক মাত্র কন্যাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েন দেবাশিস মণ্ডল।
দেবাশিস জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে শান্ত স্বভাবের ছিলেন। প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন তরুণী। রান্নার কাজ করে মেয়েকে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, কোনও এক যুবক দিয়াকে উত্ত্যক্ত করতেন। সেই কারণেই আত্মহত্যা, না কি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। রবিবার সকালে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দেন দেবাশিস। দেবাশিস জানিয়েছেন, মেয়ের দেহ ঘরে ফিরিয়ে আনার মতো সামর্থ্য তাঁর নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তবে মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।