এই সব এলাকাতেই দেহ ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় ভাগাড় নেই। ফলে, গ্রামের ফাঁকা জায়গায়, রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে পশু-পাখির মৃতদেহ। এমনকি, অজয়, দামোদরেও পশুর দেহ ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ কাঁকসা ব্লকের বাসিন্দাদের একাংশের।
এই ব্লকে সাতটি পঞ্চায়েত রয়েছে। ব্লকের এক দিকে অজয়, অন্য দিকে দামোদর বয়ে গিয়েছে। রয়েছে জঙ্গল ঘেরা বহু গ্রামও। ব্লকের বেশির ভাগ মানুষ চাষাবাদের উপরে নির্ভর করেন। ফলে, গরু, মোষ-সহ গবাদি পশু পালন করা হয় ঘরে-ঘরে। এলাকাবাসী জানান, গবাদি পশু মারা গেলে দেহ ফাঁকা মাঠে বা জঙ্গলে ফেলা হয়। অনেক সময়ে, নদের চড়াতেও মৃত পশু দেহের স্তূপ জমে।
এই পরিস্থিতিতে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাড়ছে জল-দূষণও। জনস্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কাঁকসার বাসিন্দা স্বদেশ সাহা, অরুণ মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কের ধোবারুর কাছে রয়েছে জঙ্গল। সেখানে পশু দেহ ফেলা হচ্ছে। একই দশা মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তার পাশে গড় জঙ্গলেরও।’’
ব্লক প্রশাসন অবশ্য জানায়, জনবসতিহীন এলাকায় ভাগাড় তৈরি করা দরকার। না হলে বিপত্তি বাড়তে পারে। বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ঠিক জায়গা পেলে, সরকারি ভাবে ভাগাড় তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।’’