মাঠের নানা জায়গায় শুকিয়েছে ঘাস। ছবি: বিকাশ মশান।
মাঠে প্র্যাকটিস করছেন ওডাফা। রেলিংয়ের ওপারে প্রিয় দলের প্র্যাকটিস দেখতে সবুজ-মেরুন পতাকা নিয়ে হাজির কয়েক জন সমর্থক। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা টনটন করলে বসার জায়গা অবশ্য নেই তাঁদের। কারণ প্রায় এক দশক আগে দুর্গাপুর পুরসভা ভগৎ সিংহ স্টেডিয়াম তৈরির কাজে হাত দিলেও সেখানে গ্যালারি নেই। অভাব রয়েছে বেশ কিছু ক্রীড়া পরিকাঠামোরও।
২০০৬ সালে বাম পরিচালিত সাবেক পুরসভা জাতীয় সড়ক লাগোয়া ২১ একর জমিতে স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা নেয়। ঠিক হয়, স্টেডিয়ামে ক্লাব হাউস, কমেন্ট্রি বক্স, প্রায় ২৪ হাজার দর্শকাসন থাকবে। মাঠে খেলা হবে ফুটবল ও ক্রিকেট। মাঠের চারপাশে থাকবে অ্যাথলেটিক ট্র্যাক। থাকবে ভলিবল, বাস্কেটবল, টেনিস খেলার কোর্টও। রাতে খেলার জন্য থাকবে ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা। এ সবের জন্য প্রাথমিক ভাবে সাড়ে বাইশ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়। তা জোগাড়ের জন্য দুর্গাপুরের বিভিন্ন শিল্প সংস্থার কাছে সহযোগিতা চায় পুরসভা। কিন্তু সেভাবে সাড়া না মেলায় কাজ শেষ হয়নি।
তবে রেলিংয়ের ঘেরা, ড্রেসিংরুম, দ্রুত জল নেমে যাওয়া, উন্নত ঘাস প্রভৃতি তৈরির কাজ শেষ হয়। এই মাঠে বেশ কয়েকবার আবাসিক শিবির করেছে মোহনবাগানও। এলাকাবাসীর দাবি, মাঠের প্রশংসা করে গিয়েছেন ব্যারেটো, ওডাফার মতো ফুটবলারেরা। কিন্তু স্টেডিয়ামে তৈরি হয়নি গ্যালারি। তা ছাড়া একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনূর্ধ্ব ১৫ ফুটবলের প্রশিক্ষণ শিবির হয় বলে জানান মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তাপস সরকার।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাঠের চারপাশে রেলিংয়ে মরচে ধরেছে বলে অভিযোগ। মাঠের ঘাসও শুকিয়ে যাচ্ছে। সংস্কারের অভাবে মাঠের চার পাশ, নিকাশি নালায় জমছে আবর্জনা। এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, ‘‘দুর্গাপুরে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্টেডিয়াম থাকলেও তা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারেন না। ভগৎ সিংহ স্টেডিয়ামটি তৈরি হলে দুর্গাপুরে ক্রীড়াচর্চা বাড়বে।’’
ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘মাঠের সংস্কার ও স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ করা এবং বিভিন্ন খেলার প্রস্তাবতি কোর্ট, ট্র্যাক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেজন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পরিকল্পনাও চাওয়া হয়েছে।’’