water treatment plant

নতুন জল পরিশোধন কেন্দ্র পাবে কাটোয়া

কাটোয়া পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে ন’একর জমিতে ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:৫৬
Share:

এই জমিতে প্রকল্প। নিজস্ব চিত্র

ভাগীরথীকে দূষণমুক্ত করতে কাটোয়া শহরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ (জল পরিশোধন কেন্দ্র) গড়ার কাজে হাত দিয়েছিল। অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে এখন ওই কেন্দ্র থেকে খালপাড়া ও মণ্ডলপাড়া-সহ সংলগ্ন এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শহরে। প্লান্টটি নতুন করে গড়া হবে বলে জানিয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার কাটোয়া শহরের মণ্ডলপাড়ায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি দাবি করেন, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

Advertisement

রবীন্দ্রনাথ বলেন, “এতদিন প্লান্টটি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অধীনে ছিল। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর প্লান্টটির কাজ শেষ করার দায়িত্ব নিয়েছে। শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আরও একটি জল পরিশোধন কেন্দ্র গড়া হবে। এতে শহরের জল পরিস্রুত হয়ে ভাগীরথীতে পড়বে। দূষণ বন্ধ হবে।” কাটোয়ার পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, ‘‘২০১৯ সালের অগস্টে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রতিনিধিরা প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেন। বাকি থাকা কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন, এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট দেয় ওই দফতর। প্লান্টটি নতুন করে গড়ে তোলার পরে, আমাদের দেওয়া হবে। এতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ভাল হবে। ভাগীরথীর দূষণও কমবে। শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি হবে।” পুরসভা সূত্রে খবর, দু’টি প্রকল্পের—অর্ধসমাপ্ত প্লান্টটি নতুন করে গড়া এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আরও একটি জল পরিশোধন কেন্দ্র তৈরি করা—ডিপিআর ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। কত টাকা খরচ হতে পারে, তার প্রাথমিক হিসাবও কষা হয়েছে।

কাটোয়া পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে ন’একর জমিতে ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কেন্দ্রের গঙ্গাদূষণ রোধ প্রকল্পের আওতায় ওই প্লান্টটি গড়তে তৎকালীন রাজ্য সরকার ১,৩১,০০০০০ টাকা দিয়ে জমি কিনে দিয়েছিল। তার পরে, প্রকল্প এলাকায় দশটি বড় পুকুর কাটা হয়। শহরের ১, ২, ৩, ৪, ১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সব নর্দমার নোংরা জল ওই পুকুরগুলিতে জমা হয়। পরিকল্পনা ছিল, প্লান্টে দূষিত জল পরিশোধনের পরে, ভাগীরথীতে ফেলা হবে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি। অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় কাটোয়া পুরসভাকে প্রকল্পটি হস্তান্তর করতে চাইলে পুর-কর্তৃপক্ষ তা নিতে অস্বীকার করে রাজ্যকে চিঠি দেন। অভিযোগ, কাজ শুরু না হওয়ায় শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার নোংরা জল ওই দশটি পুকুরে জমা হচ্ছে। ছড়াচ্ছে দূষণ। দূষিত জল মিশছে ভাগীরথীতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement