প্রতীকী ছবি।
লক্ষ্মীপুজোর দিনেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় জনা তিরিশ গ্রামবাসী। রবিবার রাতে তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মণ বাগদি (৪৫) নামে এক জনের। তবে কারণ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। আউশগ্রাম ১ ব্লকের গুসকরা ২ পঞ্চায়েতের শিবদা গ্রামের ওই পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে টানা পায়খানা, বমি হওয়ায় গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সন্ধ্যায় ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। রাত ৩টে নাগাদ বাড়িতে মারা যান তিনি। ব্লক প্রশাসনের দাবি, সুস্থ হওয়ার পরেই তাঁকে ছাড়া হয়েছিল। বাড়ি ফিরে মাদক নেওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে তাঁর। এ দিন গ্রামের আরও ন’জনকে বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
এ দিন গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা প্রচার চালান ১০ স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল। ২৪ ঘণ্টার ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলে পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মণ্ডল। এ ছাড়াও পানীয় জলের ট্যাঙ্ক আনা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে তিন হাজার পানীয় জলের পাউচ বিলি করা হয়। যে পুকুরের জল থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তার ও এলাকার একটি নলকূপের জল পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিডিও বলেন, “ওই এলাকায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সারাক্ষণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’
গ্রামবাসীদের দাবি, আক্রান্তদের মধ্যে বছর ছয়েকের এক শিশু-সহ দু’জন বহিরাগত রয়েছেন। তাঁরা তকিপুর এবং বুদবুদের বাসিন্দা। পুজো উপলক্ষে শিবদা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেন বাগদিপাড়ার কয়েকজন। রবিবার সকালে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেলে এলাকায় যায় ব্লক প্রশাসনের একটি দল। প্রশাসনের দাবি, স্থানীয় একটি পুকুরের জল থেকেই ডায়রিয়া ছড়িয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই ওই পুকুরের জল বাসনপত্র ধোওয়া থেকে নানা কাজে ব্যবহার করেন বলে জানা গিয়েছে।