প্রতীকী চিত্র
গ্রাম পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণ (আইএসজিপি) প্রকল্পের প্রায় এক কোটি টাকা এখনও খরচ করতে না পারায় তা ফেরত চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতে। তেমনটা ঘটলে পরের অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে পঞ্চায়েত এই প্রকল্পে কোনও অর্থ পাবে না। সমস্যা মেটাতে আজ, বুধবার পঞ্চায়েতের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
কালনা মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নান্দাই ছাড়া, আর কোনও পঞ্চায়েতে সরকারি তহবিল খরচ করতে না পারার সমস্যা নেই। নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে পঞ্চায়েত যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নিয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি বেছে নিয়ে এই তহবিল ব্যবহার করার কথা। এই তহবিলে পঞ্চায়েত পেয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ফেব্রুয়ারি এসে গেলেও ওই পঞ্চায়েত এখনও পর্যন্ত খরচ করতে পেরেছে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা কোন কোন প্রকল্পে খরচ হবে, সে ব্যাপারে এখনও টেন্ডার প্রক্রিয়াই করে উঠতে পারেনি।
প্রশাসনের কর্তারা জানান, খরচ করতে না পারা অর্থ এক বার ফেরত চলে গেলে পরের বছর বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হবে পঞ্চায়েত। সেক্ষেত্রে বঞ্চিত হবেন এলাকার মানুষ। তাই মাস দু’য়েকের মধ্যে কী ভাবে ওই অর্থ খরচ করা যায়, সে নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। প্রশাসন সূত্রের দাবি, এক দিকে পঞ্চায়েত সদস্যদের উদাসীনতা, অন্য দিকে এক সরকারি কর্মীর তৎপরতার অভাবেই এই টাকা খরচ করা যায়নি এখনও।
যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের টাকা খরচ করা হবে। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের ঝুমুর ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এই তহবিলের অর্থে কোন কোন কাজ হবে, সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা দেরি হলেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সময়ের আগেই ওই অর্থ খরচ করা যাবে।’’ কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রাবণী পাল জানান, বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলা হবে।
কালনার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, ‘‘মহকুমায় একমাত্র নান্দাই পঞ্চায়েতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তা সমাধানে কালনা ১ ব্লক প্রশাসনকে বৈঠক ডাকতে বলা হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, আজ, বুধবার বিডিও-র সঙ্গে বৈঠক হবে।