মোনালিসা দাস। — ফাইল চিত্র।
মাসখানেক পর আবার দেখা গেল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোনালিসা দাসকে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন তিনি। মোনালিসার দাবি, তিনি এত দিন অসুস্থ ছিলেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেননি।
এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করার পর থেকে মোনালিসাকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। অনেকেই দাবি করেন, মোনালিসা ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’। ঘটনাচক্রে, গত ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোনালিসার দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পর এই প্রথম দেখা গেল মোনালিসাকে। আসানসোলের গড়াইরোডে তাঁর ভাড়াবাড়ি। এত দিন সেখানেও তিনি ছিলেন না বলে বাড়িমালিক এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে দাবি করেছিলেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেই বাড়িতে টোটো চড়ে পৌঁছন তিনি।
এত দিন প্রশ্ন ঘুরছিল মোনালিসা কোথায়? পার্থকে নিজের ‘অভিভাবক’ বলে ব্যাখ্যা করা মোনালিসার কোনও হদিসও পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন ধরছিলেন না। হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠানো বার্তাও তিনি দেখছিলেন না। পার্থের বাড়িতে যে দিন ইডি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল, তখন ‘খবর’ ছড়িয়ে পড়ে, মোনালিসার শান্তিনিকেতনের একাধিক বাড়িতে ইডি ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে। আলোচনায় এসেছে মোনালিসার শিক্ষকজীবন এবং তাঁর উত্থানের কাহিনি। সব কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে পার্থের নাম। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘অনুগ্রহ’তেই নাকি মোনালিসার এই ‘বেড়ে ওঠা’। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পদোন্নতি, মোনালিসার তত্ত্বাবধানে পিএইচডি করা ছাত্রছাত্রীদের ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়া, তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রেও ‘অনুচিত অগ্রাধিকার’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার মোনালিসা বলেন, ‘‘আমি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে কাউকে চিনি না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি এক জন সৎ শিক্ষক। শিক্ষক পরিবারের সৎ সন্তান।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা নিয়ে মোনালিসার জবাব, ‘‘আমি অসুস্থ ছিলাম বলে সেমিনারে যোগ দিইনি। অসুস্থ থাকায় কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। তাই হয়তো দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’’