SS Ahluwalia

তৃণমূলের শত্রুঘ্নের পর এ বার বিজেপি সাংসদ অহলুওয়ালিয়ার নামে নিখোঁজ পোস্টার বর্ধমানে

সোমবার বর্ধমানের অনাময় হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অহলুওয়ালিয়ার নামে পোস্টার পড়েছে। অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার পর সেই ভাবে নিজের কেন্দ্রে দেখাই যায়নি সাংসদকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৭:০৪
Share:

অহলুওয়ালিয়ার নামে নিখোঁজ পোস্টার বর্ধমানে। নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হার নামে নিখোঁজ পোস্টার নিয়ে শোরগোল পড়েছিল আসানসোলে। এ বার নিখোঁজ পোস্টার পড়ল বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার নামে। সোমবার বর্ধমানের অনাময় হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় তাঁর নামে পোস্টার পড়েছে। অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার পর সেই ভাবে নিজের কেন্দ্রে দেখাই যায়নি সাংসদকে। যদি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অহলুওয়ালিয়া। বিজেপির অভিযোগ, নিখোঁজ পোস্টারের পিছনে তৃণমূল বা সিপিএমের হাত রয়েছে। অবশ্য শাসকদলের বক্তব্য, এতে তাদের কোনও হাত নেই।

Advertisement

গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছেন অহলুওয়ালিয়া। তাঁর নামে নিখোঁজ পোস্টার প্রকাশ্যে আসা নিয়ে বিরোধীদের দাবি, সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে সাংসদকে নিজের কেন্দ্রের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায় না। এমনকি, অতিমারিকালে বা কোনও বিপর্যয়ের সময়েও এলাকার মানুষেরা তাঁকে পাশে পান না। শুধু তা-ই নয়, গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পর এলাকায় দলের কর্মী-সমর্থকেরা যখন এলাকায় ‘কোণঠাসা’, তখনও নিজের কেন্দ্রে না-থাকায় সাংসদের উপর ক্ষুব্ধ দলের একাংশও।

যদিও অহলুওয়ালিয়ার বক্তব্য, ‘‘আমি নীরবে কাজ করি। তবে আমি সকলের সঙ্গে কথা বলি।’’ বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীরঞ্জন কুমার সাউও বলেন, ‘‘এটা নির্ঘাত তৃণমূল বা সিপিএমের কাজ। মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। উনি এলাকায় মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। মানুষের সমস্যায় সমস্যায় পাশে দাঁড়ান। তৃণমূলের বহু কর্মীও ওঁর দ্বারা উপকৃত। তা ছাড়া সাংসদ হিসেবে ওঁকে নানা কারণে দিল্লি থাকতেই হয়।’’

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। উনি যেখানেই জেতেন, সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। মানুষ তাঁকে কাছে পান না। এটা মানুষেরই ক্ষোভ। সাধারণ মানুষই হয়তো তাঁর নামে পোস্টার ফেলেছেন। ওঁর কর্মীরাই ওঁকে পান না। তা নিয়েও দলের ভিতর ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরাও পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন। এ সব কাজে তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement