কালনা বইমেলার উদ্বোধন। —নিজস্ব চিত্র।
কবি সুবোধ সরকারের হাত ধরে বইমেলার উদ্বোধন হয়ে গেল কালনা শহরে। রবিবার সন্ধ্যায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার হিমঘরের মাঠে শিক্ষক, ছাত্র-যুব সমাজ ও প্রবীণ নাগরিকবৃন্দের উদ্যোগে শুরু হওয়া বইমেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আয়োজন রয়েছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। রয়েছে রকমারি খাবারের স্টল।
মেলা চত্বর ঘুরে দেখা যায়, ১০ ফুট লম্বা এবং চওড়া ৭০টি স্টল রয়েছে বইয়ের। দুপুর থেকে রাজ্যের নামী প্রকাশনী সংস্থার তরফে বই সাজানো চলছিল সেখানে। রয়েছে বেশ কিছু স্থানীয় সংস্থার স্টলও। উদ্যোক্তাদের দাবি, গত বছরের থেকে ২০টি বেশি বইয়ের স্টল রয়েছে এ বার। সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। এ দিন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক দেবারতি মুখোপাধ্যায়। কিছু নতুন বইয়েরও উদ্বোধন হয়। গুণীজন সংবর্ধনারও অনুষ্ঠান ছিল। কবি সুবোধ সরকার বলেন, ‘‘বোঝা যাচ্ছে এই শহরের বইয়ের প্রতি আলাদা একটা টান রয়েছে। মন্দিরের শহর হিসাবে পরিচিত কালনায় আরও অনেক বছর সফল ভাবে বই মেলার আয়োজন হবে বলে আশা করছি।’’
দেবারতি বলেন, ‘‘প্রশাসনিক পদে থেকে কাজ করার সুবাদে বেশ কিছু আঞ্চলিক বইমেলার উদ্বোধনে গিয়েছি। এত অল্প সময়ে কালনা বইমেলার এত ব্যপ্তি দেখে ভাল লাগছে।’’ অভিভাবকদের জন্য তাঁর পরামর্শ, মোবাইলে অতিরিক্ত আসক্তি শিশুদের সৃজনশীলতা নষ্ট করে দেয়। বড়রা যত বই পড়বেন, ছোটরাও দেখে দেখে ততটাই বইমুখো হবে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘মোবাইল কাজের জিনিস। তবে মোবাইলের জন্য বইয়ের পাঠক নষ্ট না হয়, সেটা দেখতে হবে।’’ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বই উপহার দেওয়ার রেওয়াজ ফিরিয়ে আনার আর্জি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে গান পরিবেশন করেন মনোময় ভট্টাচার্য। নানা দিনে থাকবেন আরও শিল্পীরা। আঁকা প্রতিযোগিতা, হস্তলিখন, ক্যুইজ, ক্যারাটে প্রদর্শনীও রয়েছে। কালনা বইমেলার আহ্বায়ক সুব্রত পাল বলেন, ‘‘প্রতিবারই বইমেলা থেকে নতুন কিছু শিখি আমরা। এ বারও আগের বছরের কিছু ভুল ত্রুটি মেরামত করে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।’’ তাঁর আশা, শুরুর দিন থেকে প্রকাশক এবং বইপ্রেমীদের যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে মেলা সফল হবে।