WB Panchayat Election 2023

বিধায়ক-সভাপতি দ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা দিলেন মন্ত্রী

মঞ্চে রায়না ১ ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডল ও বিধায়ক শম্পা ধাড়াকে দু’পাশে নিয়ে দু’জনেরই হাত তুলে ধরে এলাকায় দলে কোনও দ্বন্দ্ব বলে বার্তা দেন মন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়না শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ০৮:০৮
Share:

রায়নায় মঞ্চে একসঙ্গে দুই নেতা-নেত্রী। নিজস্ব চিত্র AveekDas

প্রার্থিপদ নিয়ে দু’পক্ষের চাপান-উতোর তৈরি হয়েছিল রায়নার দু’টি ব্লকেই। মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দুই নেতা-নেত্রীর অনুগামীরা। প্রতীক পাওয়ার ক্ষেত্রেও চরমে ওঠে দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত দলের বেশ কিছু কর্মী ‘গোঁজ’ প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়ে গিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের শেষ দিনে রায়নায় সভা থেকে দলের বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিকে এক মঞ্চে দাঁড় করিয়ে দ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রায়নায় সভা করেন অরূপ। সেখানে মঞ্চে রায়না ১ ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডল ও বিধায়ক শম্পা ধাড়াকে দু’পাশে নিয়ে দু’জনেরই হাত তুলে ধরে এলাকায় দলে কোনও দ্বন্দ্ব বলে বার্তা দেন মন্ত্রী। দলে টিকিট না পেয়ে যাঁরা নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁর ভাবছেন, নির্দল হয়ে লড়ছেন, জিতবেন না। তাঁদের দলে ফেরাও বন্ধ।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মানুষ প্রার্থী দেখবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে প্রতীকে ভোট দেবেন।’’

রায়না ২ ব্লকে মনোনয়ন জমার শেষ দিনে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হয়েছিল। তাতে আটটি পঞ্চায়েতের ১৪৪টি আসনে প্রার্থী হিসেবে দলের ব্লক সভাপতি অসীম পালের অনুগামী বলে পরিচিতদের নাম ছিল। কিন্তু বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত অনেকেও মনোনয়ন জমা দেন। পরে প্রতীক দেওয়ার সময়ে দলীয় নেতৃত্ব বিধায়কের ৬৭ জন অনুগামীকে মনোনীত করেন। ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ ৭৭ জন প্রতীক পান। কিন্তু তাঁদের গোষ্ঠীর অনেককে প্রতীক না দেওয়ার প্রতিবাদে ব্লক সভাপতির অনুগামীরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করেন। অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেন। শেষ পর্যন্ত ৮০টি আসনে ‘গোঁজ’ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, রায়না ১ ব্লকেও বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিবাদ রয়েছে। দুই গোষ্ঠীর গোলমালে গুলি চলার ঘটনাও ঘটেছে। ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে মতান্তর রয়েছে। দ্বন্দ্বের জন্য অঞ্চল কমিটি গঠন হয়নি। দু’পক্ষকে নিয়ে বারবার বৈঠকও করেন দলীয় নেতৃত্ব। ভোটে দলের প্রতীক পাওয়া নিয়েও শেষ পর্যন্ত টানাপড়েন চলে। তবে এই ব্লকে বেশির ভাগ আসনে সভাপতির অনুগামীরা প্রতীক পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে এক মঞ্চে আসার পরে অবশ্য দু’জনই বলছেন, ‘‘দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দলকে ভোটে জেতানোই আমাদের সবার লক্ষ্য।’’

এ দিন মন্ত্রী অরূপ কাটোয়াতেও প্রচারে যান। সেখানে নৌকা, টোটোয় চেপে প্রচার করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement