কর্মস্থলের উদ্দেশে পাড়ি। ভাতারে। নিজস্ব চিত্র Stock Photographer
ভোট-পর্ব মিটেছে। এ বার রুটি-রুজির টানে ঘর ছাড়ার পালা। মন্তেশ্বরের বিভিন্ন এলাকার পরিযায়ী কৃষি শ্রমিকেরা যাচ্ছেন অন্ধ্রপ্রদেশে।
বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বর বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় কম-বেশি ১৫ জন খেতমজুরকে। ধান রোয়ার কাজে অন্ধ্রপ্রদেশে যাচ্ছেন তারা। তাঁদের মধ্যে গোপাল সর্দার, দশরথ বাগ, উজ্জ্বল রায়, বিশ্বজিৎ বাগ, ধুলো ঘড়ুই, নীল ঘড়ুইেয় দাবি, এখানে সারা বছর কাজ তেমন পাওয়া যায় না। প্রায় তিন মাস আগে বোরো ধান কাটার সময়ে কয়েক দিন কাজ হয়েছিল। ধান কাটার কাজে মেশিনের ব্যবহার বাড়ায় খেতমজুরদের কাজের সুযোগ কমেছে। বছরে ৭০-৮০ দিনের বেশি কাজ মেলে না। তাঁরা জানান, একশো দিনের কাজও বন্ধ থাকায় ভিন্ রাজ্যে যাওয়া ছাড়া তাঁদের কাছে অন্য কোনও পথ খোলা নেই।
অন্ধ্রপ্রদেশে চাষের কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যান ঠিকাদার কালু হাজরা। তাঁর দাবি, প্রায় সারা বছরই চাষের কাজ থাকে অন্ধ্রপ্রদেশে। ফলে শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। মন্তেশ্বরের লোহার, গলাতুন, মন্তেশ্বর, মেমারি, জোগ্রামের মতো এলাকা থেকে ১৫-১৬টি কৃষিশ্রমিকের দল অন্ধ্রপ্রদেশে কাজে যায়। প্রতি দলে ১২-২০ জন থাকেন।
কালু জানান, অন্ধ্রপ্রদেশে এক একর জমি রোয়ার মজুরি তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। এক জন দক্ষ শ্রমিক দিনে ৮০০-১০০০ টাকা রোজগার করতে পারেন। থাকার ঘর দেন ঠিকাদার। মেলে রান্নার গ্যাস ও চাল। মুদিখানা ও আনাজ জোগাড় করতে হয় শ্রমিকদের।
বিডিও (মন্তেশ্বর) গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজ বন্ধ থাকলেও পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রত্যেক এলাকায় বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণদানের মাধ্যমে বিকল্প কাজের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।’’