প্রতীকী ছবি।
নিজের বাড়ি নিজেই করতে হবে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের এই বার্তা দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তারা। শনিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে ওই প্রকল্পের ৫০ জন উপভোক্তাকে নিয়ে ‘প্রকল্প কথা’ নামে একটি অনুষ্ঠান হয়। বর্ধমান পুরসভা ছাড়াও, জেলার আরও পাঁচটি পুরসভার প্রশিক্ষকেরা ছিলেন সেখানে। সভার শেষে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব জলি চৌধুরী বলেন, “প্রকল্প কথা নামে একটি কর্মসূচির মাধ্যমে উপভোক্তাদের কী ভাবে বাড়ি তৈরি করতে হবে, তা নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। রাজ্যে এ রকম সাড়ে তিন হাজার সভা হবে।’’
জানা গিয়েছে, বর্ধমান পুরসভার উপভোক্তাদের দিয়ে জেলায় ‘প্রকল্প কথা’ শুরু হল। পরবর্তীতে প্রতিটি পুরসভায় গিয়ে কাজের কতটা অগ্রগতি হলে বাড়ি তৈরির টাকা মিলবে, সমস্যা হলে উপভোক্তারা কোথায় যোগাযোগ করবেন তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। উপভোক্তাদের একাংশও জানান, অন্য কারও মাধ্যমে বাড়ি তৈরি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বর্ধমান পুরসভা ১৪০টির মধ্যে ১২১টি বাড়ি তৈরি করেছে। বাকি অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮০০টির বাড়ি অনুমোদন মিলেছিল। কিন্তু মাত্র ৬২টি বাড়ি তৈরি করা হয়। এ বছর ২,১০০ বাড়ির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস-চেয়ারম্যান আইনুল হক বলেন, “দ্বিতীয় পর্যায়ে বাড়ির অনুমোদন এলেও টাকা আসেনি। সে জন্য বেশি বাড়ি তৈরি করা যায়নি। তৃতীয় পর্যায়ের কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করছি, বাড়িগুলি দ্রুত শেষ করা যাবে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে কেন্দ্র সরকার দেড় লক্ষ টাকা, উপভোক্তা ২৫ হাজার টাকা ও বাকিটা রাজ্য সরকার দেবে। উপভোক্তা বাড়ি নির্মাণ শুরু করার পরে, পুরসভা পাঁচ ধাপে ‘জিও ট্যাগিং’ করবে। তার ভিত্তিতেই তিন বা চারটি পর্যায়ে উপভোক্তারা টাকা পাবেন। জানা গিয়েছে, কাটোয়া পুরসভা বারোশোর মধ্যে আটশো, দাঁইহাট পুরসভা চার হাজার আটশোর মধ্যে তিন হাজার বাড়ি তৈরি করেছে। কর্মসূচিতে হাজির রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শেখ লালন, কাবেরী যাদবদের দাবি, “চার মাসের মধ্যে বাড়ি শেষ করার কথা বলা হচ্ছে। পুরো কাজটা নিয়ে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।’’