বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা দুর্গাপুরে

ছোট শিল্পে মহিলাদের যোগে জোর

দলটির তরফে ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ অফ বাংলাদেশ’-এর সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আমাদের দেশের মহিলারা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে সাফল্য পাচ্ছেন। তাঁরা নিজেরা শিল্পমেলা করছেন। অনেকে বড় উদ্যোগপতিও হয়ে গিয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০০:০১
Share:

দু’পক্ষের বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগপতিদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মহিলা। তাঁদের অনেকে বড় উদ্যোগপতি হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছেন। তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে মহিলা উদ্যোগপতির সংখ্যা কম বলে মনে করেন সে দেশের শিল্প ও সরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি ছোট-মাঝারি শিল্প সংক্রান্ত সংস্থা ‘এসএমই ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প সংগঠন ‘দুর্গাপুর স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন মতামত জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের কর্তারা। বুধবার তাঁরা অণ্ডাল ও দুর্গাপুরের বেশ কিছু শিল্প সংস্থা ঘুরে দেখেন।

Advertisement

দলটির তরফে ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ অফ বাংলাদেশ’-এর সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আমাদের দেশের মহিলারা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে সাফল্য পাচ্ছেন। তাঁরা নিজেরা শিল্পমেলা করছেন। অনেকে বড় উদ্যোগপতিও হয়ে গিয়েছেন।’’ তিনি জানান, পোশাক, চর্ম, কৃষিনির্ভর শিল্প-সহ নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের অনেকেই নাম করেছেন। দুর্গাপুরে মঙ্গলবারের বৈঠকে মহিলা উদ্যোগপতির অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ওখানে বৈঠক হলে মহিলারাও থাকতেন।’’

বৈঠকে প্রতিনিধি দলের তরফে এখানকার উদ্যোগপতিদের পণ্য বিক্রির জন্য ই-কমার্স ও অনলাইন মার্কেটিংয়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে ব্যবসার প্রসারে ‘নলেজ বেসড ইন্ডাস্ট্রি’র উপর জোর দিতে হবে বলে জানান তাঁরা। বৈঠকে দুর্গাপুরের উদ্যোগপতিদের কেউ-কেউ শিল্পস্থাপনে সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা জানান, উদ্যোগপতিদের আধিকারিকদের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে যেতে হবে। তাঁদের শিল্পমহলের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে শিল্পনীতি নির্ধারণে মতামত দিতে হবে। তবেই শিল্পের উপযোগী পরিবেশ গড়ে উঠবে। বৈঠক শেষে দুর্গাপুর স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত লাহা বলেন, ‘‘দু’পক্ষের মধ্যে নানা বিষয়ে মত বিনিময় হয়েছে।’’

Advertisement

বুধবার প্রতিনিধি দলটি অণ্ডাল ও দুর্গাপুরে কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করে। দুর্গাপুরে একটি গিয়ারবক্সের যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা, রং তৈরির কারখানা, পিভিসি দরজা-জানলার কারখানা ও ফেব্রিকেশন কারখানায় যায় তারা। এমন একটি রং কারখানা বাংলাদেশে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় প্রতিনিধি দলের তরফে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংগঠন ‘ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশনস অব কটেজ অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ’ (ফ্যাকসি)-এর আমন্ত্রণে দলটি এ দেশে এসেছে। ‘ফ্যাকসি’র কর্তা হিতাংশু গুহ বলেন, ‘‘দুর্গাপুর হল ইঞ্জিনিয়ারিং হাব। সে জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে এখানে আনা হয়েছে। শিল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারি উদ্যোগ এবং এ রাজ্যের শিল্প সংগঠনগুলি কী ভাবে কাজ করছে, তা তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। বাংলাদেশে এ রাজ্যের উদ্যোগপতিরা কী ভাবে ব্যবসার সুযোগ নিতে পারেন, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement