প্রতীকী ছবি।
কন্যাশ্রী দিবসের দিনই নাবালিকা মেয়ের বিয়ের তোড়জোড় করেছিল পরিবার। সকাল থেকে আচার-অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে খবর যায় প্রশাসনের কাছে। প্রথমে ফোন করে, পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
গলসি ২-এর বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধায়ের দাবি, মেয়েটির বয়স এখন ১৮ হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছে গলসি ১ ব্লকের বনসুজাপুরের ওই পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনসুজাপুর হাইস্কুলে পড়ত ওই কিশোরী। তবে বর্তমানে স্কুলে যাচ্ছিল না সে। তার বাবা পেশায় দিনমজুর। সম্প্রতি গলসি ২ ব্লকের ভূড়ি পঞ্চায়েত এলাকার মেরুয়ালে বছর একুশের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তার। বুধবার রাতেই ছিল বিয়ে। পাছে কেউ বিয়েতে বাধা দেয় তাই সারুল গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে লুকিয়ে মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলেও প্রশাসনের দাবি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের যাবতীয় আয়োজন সম্পূর্ণ। বাড়ির ভিতরে প্যান্ডেল করে জনা পঞ্চাশ অতিথির জন্য ভোজেরও আয়োজন হচ্ছিল। তার মধ্যেই বিডিও ফোন করেন ওই কিশোরীর আত্মীয়কে। বিয়ে বন্ধ করতে বলা হয়। যোগাযোগ করা হয় বাবা-মায়ের সঙ্গেও। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, রূপশ্রী প্রকল্প কী, নাবালিকার বিয়ে দিলে কী ক্ষতি হতে পারে সব বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।