—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
টিকিট না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল মনোনয়নের চতুর্থ দিনেই। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে জেলার বেশ কিছু জায়গায় আরও ডানা মেলল তৃণমূল নেতা, কর্মীদের ক্ষোভ। তার জেরে অন্য দলে যোগ, নির্দলে দাঁড়ানোর ছবিও দেখা গেল।
কাটোয়া, মঙ্গলকোটের বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা প্রকাশ্যে বা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ জানান। ভোটে নিষ্ক্রীয় থাকবেন বলেও দাবি করেন। দলীয় নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, নানা স্তরে একাধিক বার আলোচনা করার পরেই প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার রাতে কৈচর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান এনামুল হক শেখ ওরফে উজ্জ্বল সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ জানান। সরাসরি মঙ্গলকোটের বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘আমি কৈচর ২ পঞ্চায়েতের ১০ বছরের উপপ্রধান। পাঁচ বছর প্রধানের দায়িত্বও সামলেছি। কেন এ বার টিকিট পেলাম না, তা ভাল করেই জানি। এলাকার মানুষ এর জবাব দেবেন।’’ জেলা পরিষদের টিকিট পাননি কাটোয়া আদালতের আইনজীবী মণ্ডল আজিজুল হকও। তিনি বলেন, ‘‘আমি ১৯৯৮ সাল থেকে দল করছি। এ বার টিকিট পাব না, তা আঁচ করেছিলাম। আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। কেন টিকিট পেলাম না তা দলীয় নেতৃত্বই বলতে পারবেন।’’ কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মজুমদারও টিকিট পাননি। তাঁর ক্ষোভ, গোটা জেলা জুড়েই দলের পুরনো কর্মীরা টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অসময়ের কর্মীদের কেন দল টিকিট দিল না, বুঝতে পারছি না।
টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান্নগর পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ ঘোষ-সহ তিন জন এবং সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতে দু’জন নির্দলে মনোনয়ন জমা দেন। প্রধানের দাবি, ‘‘দল যোগ্য মনে করেনি। নিজেকে প্রমাণ করতে পরাণপুর আসন থেকে নির্দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’’ মেমারির বহু নেতা, কর্মীও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
দলের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দাবি, ‘‘যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁদের দলে ফেরার সুযোগ দিচ্ছি। না হলে বহিষ্কার করা হবে। আর কংগ্রেসকে বলছি, এই সব দুর্নীতিবাজদের দলে নেবেন না, আপনাদের মাধ্যমে বাঁচতে চাইছে।’’ দলের কার্যালয় অন্য কোনও রাজনৈতিক লোকেরা যাতে ব্যবহার না করে সেটা দেখা হবে, জানান তিনি।