সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও অনুব্রত মন্ডল।—ফাইল চিত্র।
দলের কর্মসূচিতে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীর ডাক পাওয়া নিয়ে ফের তৃণমূলের ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। বুধবার এলাকায় দলের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সম্মেলনে দেখা যায়নি বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। অনুব্রতের কটাক্ষ, মন্ত্রী বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁর দফতরের লোকজন যদি ভুলে গিয়ে অনেক কাগজের মধ্যে তা ঢুকিয়ে রাখেন তবে তাঁদের কী করার আছে? সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পাল্টা অভিযোগ, কর্মসূচির কথা তাঁকে জানানোই হয়নি।
এ দিন মঙ্গলকোটের মাথরুণ নবীনচন্দ্র বিদ্যায়তনে সম্মেলনে দুপুরে যোগ দিতে আসেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন দলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি রানা সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। এ দিন আলাদা ভাবে ক্ষীরগ্রামের ২১টি বুথ, শিমুলিয়া ২-এর ১০টি এবং কৈচর ১-এর ১২টি বুথ কমিটিকে ডাকা হয়। করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েই সম্মেলনে যোগ দেন অনেকে। অনুব্রত বিভিন্ন বুথের সভাপতিদের ভোটে পিছিয়ে থাকার কারণ-সহ নানা প্রশ্ন করেন। অনেক বুথ সভাপতি দাবি করেন, বিরোধী নানা দলের ভোট বিজেপিতে যোগ হচ্ছে। এই প্রবণতা আটকাতে বিরোধী কর্মীদের তৃণমূলে আনার পরামর্শ দেন অনুব্রত।
সম্মেলন শেষে অনুব্রত দাবি করেন, ‘‘কেতুগ্রামের বর্তমানে বিধায়ক থাকায় শেখ সাহনেওয়াজের নাম প্রার্থী হিসেবে আমার প্রস্তাব। তবে মঙ্গলকোটের বিধায়ক মন্ত্রী বলে কথা। অনেক ব্যস্ত থাকেন। তাই দলের কর্মসূচিত আসতে পারেন না। চিঠি দিলেও দফতর অন্য কাগজের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। অচল (ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী) ভাল কাজ করেন। দল তাঁর পাশে থাকবে।’’
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি লন্ডনে থাকি না যে কর্মসূচির চিঠি দিলে পাব না। আসলে ওরা আমাকে কোনও কর্মসূচিতেই ডাকে না। এ দিনও বলেনি। প্রার্থী যে-ই হোক, মিলেমিশে সকলকে নিয়ে কাজ না করলে দলের ফল খারাপ হবে বলে মনে করি।’’