—প্রতীকী চিত্র।
শ্যালকের বিয়েতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু হল জামাইবাবুর। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকার ঘটনা। অন্য দিকে, পশ্চিম বর্ধমানেরই পাণ্ডবেশ্বর এবং বীরভূমের ভীমগর সংলগ্ন অজয় নদে স্নানে নেমে তলিয়ে গেল এক কিশোর। সোমবার দুটি মর্মান্তিক ঘটনার খবর মিলল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুর নিউটাউনশিপের ফুলঝোরের বাসিন্দা দেবমিত সামন্তের বিয়ে ছিল সোমবার। বিয়ের রীতি মেনে সকালে পাত্রের আত্মীয়রা পুকুরে জল আনতে গিয়েছিলেন। পাত্রের দিদি দেবস্মিতা কুন্ডু এবং জামাইবাবু কৌশিক কুন্ডু পুকুরে নেমে ঘটে করে জল তুলছিলেন। আচমকা পা পিছলে জলে ডুবে যেতে থাকেন দেবস্মিতা। তাঁকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন কৌশিক। মেয়ে- জামাইকে ডুবে যেতে দেখে জলে ঝাঁপ দেন স্বপনকুমার সামন্ত। সঙ্গে থাকা ওই আত্মীয়াদের চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশীরা এসে তিন জনকেই জল থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু কৌশিক এবং স্বপনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জামাই কৌশিককে মৃত বলে ঘোষণা করনে। শ্বশুর স্বপনের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে খবর।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, কৌশিক আদতে শিলিগুড়ির বাসিন্দা। চাকরি সূত্রে থাকতেন দিল্লিতে। শ্যালকের বিয়ে উপলক্ষে রবিবারই তিনি দিল্লি থেকে দুর্গাপুর আসেন। গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ ফুলঝোরের ওই এলাকা। বিয়েবাড়িতে এখন বিষাদের সুর।
অন্য দিকে, অজয় নদে স্নানে নেমে এক কিশোর তলিয়ে গিয়েছে সোমবার। ১৪ বছরের ওই কিশোরের নাম মৃদুল বার্নওয়াল। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে কিশোরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বীরভূমের খয়রাশোল এবং পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবৈধ ভাবে বালি তোলার জেরে গভীর হচ্ছে অজয় নদ। তার ফলেই এমন দুর্ঘটনা হল।