—প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি হাসপাতালের পাঁচ তলা থেকে পড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল এক রোগীর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বারান্দা থেকে আচমকা ঝাঁপ দেন তিনি। সোমবার এই ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের পাওয়ার হাউস পাড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতের নাম বংশ হাজরা (৩৫)। তাঁর বাড়ি মন্তেশ্বরের কামরাগ্রামে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ হাসপাতালের পাঁচ তলা থেকে তিনি ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে আইসিইউ-তে ভর্তি করানে হয়। চিকিৎসকদের সব রকম চেষ্টা সত্ত্বেও মারা যান ওই যুবক।
অন্য দিকে, মৃতের পরিবারের দাবি, রবিবারই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। সেই রাতেই কী ভাবে রোগী ঝাঁপ দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আত্মীয়রা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করা হয়। সোমবা ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, দিন চারেক আগে একটি বাইক দুর্ঘটনায় কাঁধে চোট পান যুবক। সেই কারণে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। রবিবার বর্ধমান শহরের পাওয়ার হাউস পাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন হয় তাঁর। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও হয় বংশর। জানান, আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন। সোমবার সকালেই হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, রাত ১২টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা হয়। মৃতের ভাই হংস হাজরা বলেন, ‘‘কেন হঠাৎ এই ঘটনা ঘটল, কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। রবিবার রাতেও সবার সঙ্গে কথা বলল দাদা। তার পর এমন কিছু ঘটবে, কল্পনাও করতে পারিনি।’’
মৃতের পরিবার মৌখিক ভাবে হাসপাতালের নজরদারি নিয়ে অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, যদি নজরদারি সঠিক ভাবে থাকত, এম্ন কিছু হয়ত ঘটত না। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, নজরদারি ছিল। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে জীবিত অবস্থায় রোগীকে উদ্ধার করে আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে প্রাণরক্ষা করা যায়নি।
সোমবার বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থল সরোজমিনে খতিয়ে দেখে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছে।