ধৃত আরশাদ। নিজস্ব চিত্র
চলন্ত ট্রেনে বিদেশিনীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল বর্ধমান রেল পুলিশ। ধৃত আরশাদ হোসেনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী তিনি। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে কর্মরত।
জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে সঙ্গীর সঙ্গে ভারতে বেড়াতে আসেন ওই তরুণী। রবিবার রাতে ডাউন জামালপুর এক্সপ্রেসের এস-৮ কামরায় হাওড়া যাচ্ছিলেন তাঁরা। রিজার্ভেশন না থাকায় ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। ওই ট্রেনেই পাকুড় আসছিলেন আরশাদ। অভিযোগ, ট্রেনটি পাকুড় ষ্টেশনে এসে পৌঁছনোর পরে ব্যাগ নিয়ে দরজার কাছে আসেন আরশাদ। তাঁর সিট ফাঁকা কি না জানতে চান ওই যুবতী। তাঁর অভিযোগ, সিট দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আরশাদ তাঁর শ্লীলতাহানি করে। তিনি প্রতিবাদ করায় তাঁর বুকে ঘুষি মারা হয় বলেও অভিযোগ। পরে যুবতী ও তার পুরুষসঙ্গীর চিৎকারে ট্রেনের অন্য যাত্রীরা ছুটে আসেন। বিষয়টি জানানো হয় ট্রেনের আরপিএফকে। পরে বর্ধমানে নেমে জিআরপিতে অভিযোগ করেন ওই যুবতী। আরশাদকেও তুলে দেওয়া হয় রেলপুলিশের হাতে।
সোমবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে ধৃতের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘শ্লীলতাহানীর অভিযোগ সঠিক নয়। ভাষাগত সমস্যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’ যদিও সরকারি আইনজীবী নারদকুমার ভূঁইয়া বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘ওই বিদেশিনীর শ্লীলতাহানি হয়েছে। ধৃতের জামিন মঞ্জুর হলে দেশের সম্মান নষ্ট হবে।’’ সওয়াল জবাব শুনে সিজেএম রতনকুমার গুপ্তা ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলার নির্দেশ দেন। এ দিন চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ওই যুবতীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।
ওই যুবতী বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুব দুর্ভাগ্যজনক। যা বলার অভিযোগে ও আদালতে জানিয়েছি।’’ সাক্ষ্য দিতে আসবেন কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে পরে ভাবব। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সে ফ্রান্স থেকে সাক্ষ্য দেব।’’