ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার রানিগঞ্জের সিহারসোলের প্রশাসনিক জনসভায় যোগ দিয়ে তাঁর বক্তব্যের বড় অংশই হিন্দিতে বললেন। এর পরে, জেলার রাজনীতিতে চর্চা, মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত জেলার হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা খেয়াল রেখেই তাঁর বক্তব্যকে এ ভাবে সাজিয়েছিলেন।
জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকায় ৫২ শতাংশেরও বেশি অবাঙালি ভোটার। এর মধ্যে বড় অংশই হিন্দিভাষী। তাঁদের মতে, সব রাজনৈতিক দলই কম-বেশি এই ভোট-অঙ্কের কথা খেয়াল রাখে। অতীতে দেখা যেত, সিপিএম পাড়ায়-পাড়ায় বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল এনে অনুষ্ঠান করাচ্ছে। পাশাপাশি, দলের হিন্দিভাষী নেতৃত্বকেও সভা করাতে দেখা যেত। পাশাপাশি, বিজেপি-রও হিন্দিভাষীদের মধ্যে ‘প্রভাব’ রয়েছে দীর্ঘদিন।
এর আগে জামুড়িয়ার এক সভায় যোগ দিয়েও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের অনেকটাই হিন্দিতে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ভার দলের রাজ্যসভার সদস্য দীনেশ ত্রিবেদী ও তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বিবেক গুপ্তকে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথাও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
তবে, কোনও রাজনৈতিক দলই এই ‘চর্চা’কে আমল দিতে চায়নি। রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের দাবি, ‘‘আমাদের সঙ্গে সব ভাষার মানুষই রয়েছেন।’’ তবে পাশাপাশি, তাঁর সংযোজন: ‘‘আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতিকেই গুরুত্ব দিই।’’ বিজেপির আসানসোল জেলা সহ-সভাপতি প্রমোদ পাঠক বলেন, ‘‘হিন্দিভাষীদের আমরা আলাদা করে দেখিনি কখনও। তবে ওঁরা বাংলাভাষীদের মতোই আমাদের সঙ্গেই আছেন।’’ এ দিকে, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘সবাই খুঁত ধরতে চান। কিন্তু আদতে মুখ্যমন্ত্রী চিরকালই সবাইকে নিয়ে পথ চলতে চান, তাঁর বক্তব্যে সেটাই ধরা পড়েছে।’’