তৃণমূল বালি লুটছে, নালিশ দিলীপের

দিলীপবাবুর সভাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে দামোদর। সে দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূলের নেতারা নদীর বালি লুট করছে। বালির ট্রাক থেকে তোলা আদায় করে খাচ্ছে। নদী থেকে এমন ভাবে বালি তুলছে, জলে নেমে প্রচুর মানুষ ডুবে যাচ্ছে। বেআইনি বালি খাদান বন্ধের প্রতিবাদ করতেই হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়না শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৩
Share:

টাউন হলের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র

নদী থেকে বালি লুট আবার বালির ট্রাক থেকেও তৃণমূল নেতারা তোলা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রায়নার সেহেরাবাজারের স্কুল মাঠে সোমবার বিকেলে এক সভায় এমনই দাবি করেন তিনি। যদিও তৃণমূলের জেলা কমিটি দিলীপবাবুর অভিযোগকে ‘পাগলের প্রলাপ’ হিসাবেই দেখছে।

Advertisement

দিলীপবাবুর সভাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে দামোদর। সে দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূলের নেতারা নদীর বালি লুট করছে। বালির ট্রাক থেকে তোলা আদায় করে খাচ্ছে। নদী থেকে এমন ভাবে বালি তুলছে, জলে নেমে প্রচুর মানুষ ডুবে যাচ্ছে। বেআইনি বালি খাদান বন্ধের প্রতিবাদ করতেই হবে।’’ সমাজবিরোধীরা তৃণমূলের ‘সঙ্গে থাকা’য় পুলিশ তাঁদের টিকি পর্যন্ত ছুঁতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সভা থেকে রাজ্য সভাপতির আরও হুঁশিয়ারি, “গায়ের জোরে বিজেপি আটকানো যায়নি, যাবেও না। কিন্তু যাঁরা আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না, জেলের ভাত খাওয়াচ্ছে, ক্ষমতায় এলে আমরাও শান্তিতে থাকতে দেব না। মামলার খরচ, আদালতে যাতায়াত-সহ যা খরচ হচ্ছে সে সব খরচ আমরা বুঝে নেব। যাঁরা এ সব করছেন, অবসর হয়ে গেলেও পেনশন থেকে টাকা কেটে নেব। এরা তো (তৃণমূল) তোলাবাজি-সিন্ডিকেটরাজ করছে। আমরা পকেট থেকে টাকা বের করে নেব।’’ তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “ওই সব নেতা-পুলিশ আধিকারিকদের নাম লিখে রাখুন। তবে পুলিশ থাকবে, আমরাও থাকব। তৃণমূলের কী হবে?”

Advertisement

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “ও সব পাগলের প্রলাপ। বালি লুট আটকানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সচেষ্ট। আর তৃণমূলকে নিয়ে বিজেপিকে ভাবতে হবে না। মানুষের ভিতর রয়েছে তৃণমূল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement