মদের দোকানের রমরমায় ক্ষোভ

সুগম পার্ক এলাকা থেকে ডান দিকে ঘুরে ওকে রোডের মোড় লাগোয়া কোড়াপাড়ার ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে শিবলাল ডাঙাল বা কালিকা ডাঙাল এলাকাটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০০:১৩
Share:

মদের দোকান নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এই এলাকাতেই। নিজস্ব চিত্র

ব্যাঙের ছাতার মতো মদের দোকান গজিয়ে ওঠায় লেগেই রয়েছে অশান্তি। প্রতিবাদ করতে গেলেই হেনস্থা হতে হচ্ছে, এমনই অভিযোগ আসানসোল পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিবলাল ডাঙালের বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ এসে সামাল দিলেও বেশিক্ষণ শান্তি স্থায়ী হয় না। মদের দোকানের জেরে এমন নিত্য অশান্তি থেকে রেহাইয়ের জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

Advertisement

সুগম পার্ক এলাকা থেকে ডান দিকে ঘুরে ওকে রোডের মোড় লাগোয়া কোড়াপাড়ার ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে শিবলাল ডাঙাল বা কালিকা ডাঙাল এলাকাটি। প্রায় পনেরো হাজার মানুষের বাস। বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, নাগরিক পরিষেবা নিয়ে তাঁদের বিশেষ অভিযোগ নেই। বহু বছর ধরে এখানে একটি সরকারি অনুমোদিত দেশি মদের দোকান চলছে। অভিযোগ, তার পাশাপাশি এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজের বাড়ি লাগোয়া ঝুপড়িতে একটি অবৈধ দেশি মদের দোকান খুলে বসেছেন। আবার শিবলালা ডাঙার পশ্চিম প্রান্তেও বেশ কিছু ঝুপড়িতে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদের দোকান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবৈধ দোকানগুলিতে সকাল থেকেই বহিরাগতেরা ভিড় জমায়। নিজেদের মধ্যে বচসা থেকে মারামারিতেও জড়িয়ে পড়ে তারা। ফলে, এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়।

সরকারি অনুমোদিত দোকানটির অদূরেই রয়েছে প্রাথমিক স্কুল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মত্ত লোকজনের আতঙ্কে পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়া-আসা করতে ভয় পায়। স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা মালিনী কুমারী বলেন, ‘‘আমি স্থানীয় কাউন্সিলরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কিছু হয়নি।’’ স্থানীয় কাউন্সিলর দীপক সাউ জানান, শুধু ওই স্কুল নয়, স্থানীয় বাসিন্দারা বহু বারই এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পুলিশকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না বলে তাঁর দাবি। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা চেয়ারম্যান আশিস চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল পরিদর্শককে পাঠিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

তবে ওই মদের দোকানটি যখন তৈরি হয় তখন আশপাশে কোনও স্কুল ছিল না বলে দাবি করেছেন আবগারি দফতরের জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্ট তুহিন নাগ। তাঁর দাবি, এখন দোকানটি সরাতে হলে অনেক বিষয় নজরে রাখতে হবে। সেগুলি দেখা হবে। বেআইনি মদের দোকান গজিয়ে ওঠার অভিযোগ প্রসঙ্গে তুহিনবাবু বলেন, ‘‘সম্প্রতি ওখানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ ঠেক বন্ধ করেছি। আবার অভিযান চালানো হবে।’’ পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) স্বপন দত্তের আশ্বাস, অবৈধ মদের ঠেক বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement