পরিবেশ রক্ষায় প্রতি পঞ্চায়েতে ইকোপার্ক গড়ার ভাবনা

মূলত খনি-শিল্পাঞ্চল হওয়ার কারণে পশ্চিম বর্ধমানের গ্রামীণ এলাকায় সবুজের পরিমাণ তুলনায় অনেক কম। যেটুকু বনাঞ্চল রয়েছে তা-ও নষ্টের অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:২২
Share:

ছবি এএফপি।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও দূষণ রোধে বন সংরক্ষণ শুধু শহরাঞ্চলে করলে চলবে না। গ্রামীণ এলাকাতেও বনভূমির বিস্তার প্রয়োজন, মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। সে জন্য পশ্চিম বর্ধমানের প্রতি পঞ্চায়েতে এ বার একটি করে ইকো পার্ক গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপও শুরু হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

মূলত খনি-শিল্পাঞ্চল হওয়ার কারণে পশ্চিম বর্ধমানের গ্রামীণ এলাকায় সবুজের পরিমাণ তুলনায় অনেক কম। যেটুকু বনাঞ্চল রয়েছে তা-ও নষ্টের অভিযোগ উঠছে। বনসৃজনের কাজও অবহেলিত হচ্ছে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তাই জেলার আটটি ব্লকের প্রতি পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে ‘ইকোপার্ক’ গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবেশ) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘শহর হোক বা গ্রাম, সর্বত্রই পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে বনসৃজনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি আমরা। গ্রামাঞ্চলে ইকোপার্ক তৈরি করা হবে।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এই পার্কগুলি তৈরি করা হবে। সেখানে ফলের গাছ লাগানো হবে। পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে এই কাজ করা হবে। আধিকারিকেরা জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনটি লক্ষ্য পূরণ হবে। প্রথমত, দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে। দ্বিতীয়ত, পার্কগুলি সংশ্লিষ্ট এলাকার শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তৃতীয়ত, একশো দিনের প্রকল্পে পার্কগুলি তৈরি করা হলে গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান হবে। পার্কের গাছের ফল বিক্রি করে আয় করতে পারবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর সরকার বলেন, ‘‘এই উদ্যোগ সফল করতে পঞ্চায়েত স্তরে প্রাথমিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছর গোড়ার দিকে কয়েকটি পার্ক তৈরির কাজ শেষ হবে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে এই উদ্যোগের পাশাপাশি বন দফতরের উদ্যোগে জেলায় প্রায় তিনশো হেক্টর জমিতে বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। নতুন বছরেই তা পূরণ হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা। দুর্গাপুর-আসানসোলে বন দফতরের জমিতেই এই কর্মসূচি হবে। সেই সঙ্গে আসানসোল পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডে ছড়িয়ে থাকা সরকারি খাস জমি চিহ্নিতকরণ শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরকর্তারা জানান, সেই জমিগুলি উপযুক্ত দেখভালের অভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। তাই সেখানে বনসৃজনের মাধ্যমে দখলদারি বন্ধ ও শহরের পরিবেশ রক্ষার কথা ভাবা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement