গাড়িতে ওঠার সময় গুলিবিদ্ধ হন বাম নেতা। ঘটনাস্থলে মেলে বুলেট। —নিজস্ব চিত্র।
ভরসন্ধ্যায় এক বাম নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চলল পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে। সিদুলি কোলিয়ারি সিপিআই পার্টি অফিসের কাছে গুলিবিদ্ধ হন বুদ্ধদেব সরকার নামে ওই বাম নেতা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সিপিআইয়ের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় নিজের গাড়িতে উঠছিলেন বুদ্ধদেব। সেই সময় আচমকা একটি মোটর বাইক এসে দাঁড়ায় তাঁর গাড়ির সামনে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েক জন দুষ্কৃতী বুদ্ধদেবকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। মোট তিন রাউন্ড গুলি চলে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। গুলিবিদ্ধ ওই বাম নেতাকে পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকে তাজা কার্তুজ পেয়েছে তারা।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বুদ্ধদেব সরকার এলাকায় বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলেই পরিচিত। উনি বল্লভপুর পঞ্চায়েতের কর্মী হিসাবে কাজ করেন। কোলিয়ারি এলাকায় বাম শ্রমিক সংগঠন ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। তৃণমূলের শক্তিক্ষয় হচ্ছে। তাই এ ভাবে গোলাগুলি চালিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে শাসকদল।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই সরকারের আমলে এই সবই হবে।’’
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তারা জানিয়েছে, এর সঙ্গে কোনও ভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়।
অন্য দিকে, বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী কয়েক দিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর হাত থেকে ফুলের তোড়া নিয়েছেন। চা-ও খেয়েছেন। এত সুন্দর বন্ধুত্বের এইটাই হচ্ছে ফল!’’
গুলি চলার ঘটনা নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতমের কথায়, ‘‘যে বাম নেতার গুলি লেগেছে, তাঁকে দুর্গাপুরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’