Park

খোলা পার্কে অবাধ বিচরণ গরুর, সমস্যা

প্রায় ২৫ বছর আগে প্রয়াত শ্রমিক নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি ভরাট করে পার্ক তৈরি করে দিয়েছিল ইসিএল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০২
Share:

কুমারডিহিতে পার্কে গরু। —নিজস্ব চিত্র।

কুমারডিহি গ্রামের কাছে ডিহি পার্ক চারদিক ঘেরা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন দর্শকেরা। পার্কের ভিতরে আছে আচ্ছাদিত মঞ্চ, মুক্তমঞ্চ, সাংস্কৃতিক ভবন, শিশুদের বিনোদনের ক্রীড়া সামগ্রী।‌ একটি ছোট পুকুরের চারপাশে বসার ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু, চারদিক ঘেরা না থাকায় অবাধে গোচরণের ফলে দর্শকদের অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

প্রায় ২৫ বছর আগে প্রয়াত শ্রমিক নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি ভরাট করে পার্ক তৈরি করে দিয়েছিল ইসিএল। সামনের দিকটা তারা ঘিরেও দেয়। এরপর প্রচুর গাছ লাগানো হয়। নাম রাখা হয় ডিহি পার্ক। পার্ক কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ তৈরি করে।‌ চন্দ্রশেখরের মৃত্যুর পরে এই মঞ্চের নাম রাখা হয়েছে তাঁর নামে। নবগ্রাম পঞ্চায়েত ও পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে পার্কের ভিতরে রবীন্দ্র মঞ্চ, সাংস্কৃতিক ভবন সহ বিভিন্ন কাজ করা হয়। দু’দিক ঘিরে দেওয়া হলেও অন্য দু’দিক ফাঁকা রয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ বাগদি, কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়রা জানান, শীতকালে অনেকেই এই পার্কে পিকনিক করতে আসেন। অবাধে গরু ঢুকে যায় পার্কে। তাতে বিপাকে পড়তে হয়। শিশুরা অবাধে খেলতে পারে না। এ ছাড়া পার্কের ভিতর আগাছায় ভরে থাকে। পরিষ্কার করা হয় না। চারদিকে গোবর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। পাণ্ডবেশ্বর ও অন্ডালের একাংশের কাছে এটি বিনোদনের অন্যতম জায়গা। পার্ক কমিটির বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া ‌উচিত। পার্ক কমিটির সম্পাদক রতন ভট্টাচার্য জানান, পার্কে ঢুকতে কোনও পয়সা দিতে হয় না। মাঝে মাঝে আগাছা কেটে ফেলা সহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। ইসিএল-এর কাছে ঘিরা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আবেদন জানানো হয়েছে। নিয়মিত পরিষ্কারেরও পরিকল্পনা আছে।

Advertisement

নবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সতন সোমণ্ডল জানান, পঞ্চায়েত ও পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি পার্কের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement