ক্ষত দেখাচ্ছে খুদে। নিজস্ব চিত্র
টিফিনের সময়, স্কুল ছুটির সময় গায়ে সুচ ফুটিয়ে দেয় উঁচু ক্লাসের ছাত্রেরা, বন্দুক-ছুরি দেখিয়ে টাকাও চায়— এমনই অভিযোগ করেছে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের ওই দুই ছাত্রের অভিযোগের ভিডিও। পুলিশ স্কুলে গিয়ে খোঁজখবরও করে। যদিও দুই পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকের পোস্ট করা ওই ভিডিওয় দেখা যায়, একটি বছর এগারোর ছেলে নিজেকে কেডিআই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া দাবি করে স্কুলের অন্য উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে গায়ে সুচ ফুটিয়ে দেওয়া, যখন-তখন টাকা চাওয়ার অভিযোগ করছে স্কুলের উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের বিরুদ্ধে। হাজরাপুর কলোনির বাসিন্দা ওই দুই ছাত্রের অভিযোগ, বুধবার স্কুলের টিফিনের সময় সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির জনা পাঁচেক পড়ুয়া মিলে টাকা চায় তাদের কাছ থেকে। দিতে না পারলে হাতে ও পায়ে সুচ ফুটিয়ে দেয়।
পেশায় পুরকর্মী, এক ছাত্রের বাবার অভিযোগ, ‘‘এর আগেও ক্লাসে টাকা দিতে না পারলে ব্যাগ ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখানোর কথাও বলেছে ছেলে। ভয়ে স্কুলে যেতে চাইত না। বারবার জিজ্ঞেস করায় জানিয়েছে র্যাগিংয়ের কথা।’’ বুধবার ওই ঘটনার পরে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসক ছেলেটির কথা রেকর্ড করে পোস্ট করেন। ওই ডাক্তারের দাবি, ‘‘ছাত্রটি আমার কাছে সব কথা খুলে বলেছে। নজরদারির অভাবে ওই টুকু ছেলে ভয় পাচ্ছে দেখে বিষয়টি সকলকে জানাতে ভিডিও পোস্ট করেছি।’’
আরও পড়ুন: ‘স্যর মারতেই পারেন’, বরাহনগরে বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দুই ছাত্রের অভিভাবকেরা স্কুলে আসেন। আসেন কাটোয়া থানার দুই পুলিশকর্মীও। তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পিন্টুকুমার সিংহ বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পাইনি। স্কুলে এসে বিষয়টা শুনলাম। ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে দেখছি।’’