Katwa

দলের নেতাদের ভিডিয়োয় তোপ

যদিও তাঁর দাবি মানতে নারাজ বিজেপির জেলা সভাপতি সাংগঠনিক (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘কারও ক্ষতি করিনি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০০:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দলের জেলা সভাপতি (কাটোয়া) ও দলের মহিলা মোর্চার জেলা সম্পাদিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় সরব হয়েছেন কাটোয়ার এক বিজেপি নেতা। চঞ্চল মণ্ডল নামে ওই নেতা কাটোয়া ৪১ নম্বর ‘জেড পি’র সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজের অভিযোগের কথা ‘ভিডিয়ো রেকর্ডিং’ করে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ‘পোস্ট’ করেন তিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘ভাইরাল’ হয় ওই ভিডিয়ো (যার সত্যাসত্য আনন্দবাজার যাচাই করেনি)। তবে বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ দলের জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের মণ্ডলহাট এলাকায় বাড়ি চঞ্চলবাবুর। সক্রিয় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত তিনি। দলের মিটিং-মিছিলেও তাঁকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। কিন্তু নানা কারণে বছরখানেক আগে থেকেই ‘দলীয় কোন্দল’ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি।

ওই ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে দেখা যায়, ‘অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে বাধ্য হয়ে ভিডিয়োটা করতে হচ্ছে। গত বছর লোকসভা ভোটের দু’দিন আগে কাটোয়ায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আসার কথা ছিল। তার দিন দু’য়েক আগে দলের এক কর্মী-সহ আমাকে শাসক দলের পক্ষ থেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। ওই মিথ্যা মামলাকে সত্য প্রমাণ করার জন্য কৃষ্ণ ঘোষ ও সীমা ভট্টাচার্য সহযোগিতা করেছিলেন। এই অপমানের জেরে সাত দিনের মধ্যে আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন। মামলা কোর্টে উঠলে সেই সময়ে সাংবাদিকদের ওই নেতারা বলেছিলেন, আমরা নাকি ভাড়া করা কর্মী।’ এর পরেই দলের ‘অবহেলিত’ কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে দলের নেতারা যা করেছেন আগামী দিনে আপনাদের সঙ্গে যাতে আর না করতে পারেন সেই জন্য রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে’। চঞ্চলবাবুকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এক বছর ধরেই বৈষম্য চলছে। নানা কারণে অপমান করা হচ্ছে। পুরোটাই তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ করে করছেন ওই দুই নেতা-নেত্রী।’’

Advertisement

যদিও তাঁর দাবি মানতে নারাজ বিজেপির জেলা সভাপতি সাংগঠনিক (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘ স্বচ্ছ ভাবে রাজনীতি করি। কারও ক্ষতি করিনি। কেউ ভুল বুঝে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে কী করতে পারি? তুচ্ছ ব্যাপারে একেবারেই মাথা ঘামাতে চাই না।’’ মহিলা মোর্চার জেলা সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন, মেসেজের জবাব মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement