গ্রেফতার অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র
একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ, মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে বুধবার রাতে বনকাটি পঞ্চায়েতের সাতকাহনিয়ার বাসিন্দা আসাদুল মিয়াঁ নামে বছর কুড়ির এক যুবককে গ্রেফতার করল কাঁকসা থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে ‘পকসো’ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ওই ছাত্রী বাড়ির অদূরে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়ে অভিযুক্ত চাদর চাপা দিয়ে ওই ছাত্রীটিকে বাড়ির অদূরেই জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ইট মেরে নির্যাতিতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ পরিবারের। ছাত্রীটির চোখে, মুখেও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশকে ছাত্রী জানিয়েছে, রাতভর জঙ্গলেই পড়ে ছিল। বুধবার ভোরে স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির অদূরে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারকে খবর দেন। ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন। সন্ধ্যায় ছাত্রীর পরিবার কাঁকসা থানায় আসাদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে রাতেই তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন, রাতে বাড়ি না ফিরলেও পরিবারের তরফে কেন খোঁজখবর করা হয়নি। পরিবারের দাবি, ওই নাবালিকা রাতে নিজের বাড়ির অদূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকে। সেই রাতেও সেখানে যাওয়ার জন্যই বেরিয়েছিল। ফলে, এমন ঘটনা ঘটবে, তা বোঝা যায়নি বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, আসাদুল কিছু দিন ধরেই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। তাকে ফোন করেও বিরক্ত করা হত বলে অভিযোগ।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবকের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা। তবে ধৃতকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।