প্রতীকী ছবি।
শহর এবং তার আশপাশ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অজস্র প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগার। অভিযোগ, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই পরীক্ষাগারগুলির একাংশ। অনেকসময় ‘প্রতারিত’ হচ্ছেন রোগীরাও। সোমবার মহকুমাশাসকের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেন কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগও।
এ দিন কালনা মহকুমাশাসকের দফতরে একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। হাজির ছিলেন পুরপ্রধানও। বিকেলে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়াম নিয়ে বৈঠকের আগে মহকুমাশাসককের কাছে তিনি দাবি করেন, পরীক্ষাগারের ভুল রিপোর্টের জন্য হয়রানি হচ্ছে রোগী ও তাঁর পরিজনেদের। তিনি জানান, সম্প্রতি নবদ্বীপের এক বাসিন্দা সোডিয়াম পরীক্ষার জন্য কালনা নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে যান। সেখানে তাঁর সোডিয়ামের মাত্রা মেলে ১৭৯। ওই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে রোগীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে রেফার করেন কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে। সেখানে ফের পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই রোগীর শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক। সমস্যার কথা জেনে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি। পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘দ্রুত অভিযোগ জমা দেওয়া হবে।’’
বৈঠকে দেবপ্রসাদবাবু দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে শহরের আশপাশের বিভিন্ন পরীক্ষাগার নিয়ে নানা অভিযোগ আসছে তাঁর কাছে। যেমন, বেশ কিছু পরীক্ষাগারে রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেন না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। অথছ মাসের পর মাস রিপোর্টে সাক্ষর থাকে তাঁর। এমনকি, কিছু পরীক্ষাগারে কর্মী না থাকা সত্ত্বেও অনায়াসে রোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রক্ত, মল, মূত্র পরীক্ষার রিপোর্ট। পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার এমন কারবার বন্ধ হওয়া উচিত। ধারাবাহিক অভিযান প্রয়োজন।’’ মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনা হচ্ছে। দ্রুত অভিযানেরও পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’’