কালনায় শমীক ভট্টাচার্য ও বর্ধমানে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে প্রাথমিকে নিয়োগের টেট দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কালনার তৎকালীন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী, বৌদির সঙ্গে আরও ৬২ জন তৃণমূল কর্মীও তাঁর হাত ধরেই চাকরি পেয়েছেন। এ হেন মন্তব্যের পরে, তাঁকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল, বিজেপি—দু’দলই। সোমবার কালনা শহরে এসে প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্য ঠিক, দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
‘দিব্য কাশী, ভব্য কাশী’ কর্মসূচিতে কালনা শহরের সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘উনি (বিশ্বজিৎ) বলেছিলেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে একটার পরে একটা মামলা বলে দিচ্ছে বিশ্বজিৎ ঠিক। তৃণমূল ভুল।’’ বিশ্বজিতের দাবি, ‘‘তখন বলেছিলাম, এখনও বলছি দুর্নীতি হয়েছে। স্বচ্ছতা থাকলে প্যানেল বাতিল করে দিক।’’ যদিও তৃণমূলের রাজ্যের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডুর পাল্টা দাবি, ‘‘৬৫ জনকে চাকরি বিক্রি করার দায় ওঁকেই নিতে হবে। তৃণমূল নেবে কেন? উনি যে দলে গিয়েছেন, তাদের নিশ্চয় ভাগ দিতে হয়েছে। তারাই বিষয়টি বুঝে নিন।’’
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন শমীক। তাঁর দাবি, ৫৪ জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। প্রায় আট হাজার কর্মী এখনও ঘরছাড়া। যদিও তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। এ দিন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে হাজির ছিলেন ছিলেন বিজেপির তফসিলি মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি ধনঞ্জয় হালদার, জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ পোদ্দার, সুভাষ পাল, সৌরভ রায়েরা।
ওই কর্মসূচিতে এ দিন বর্ধমানের ১০৮ শিবমন্দিরে পুজো দেন রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ বর্ধমান শহরের নবাবহাটে ওই মন্দিরে হাজির হন তিনি। মন্দির প্রদক্ষিণ করে পুজো দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা, সন্দীপ নন্দীরা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘কাশীতে প্রধানমন্ত্রী ‘দিব্য কাশী, ভব্য কাশী’ কর্মসূচি করছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে আমরা পুজো দিলাম।’’
পূর্বস্থলী ২ ব্লকের জামালপুরে বুড়োরাজ মন্দিরেও ওই কর্মসূচি করেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষেরা।