Jitendra Tiwari

Babul Supriyo and Jitendra Tiwari: আসানসোলের জন্য ভাল হল না, তবে আমি এর কারণ নই, বাবুলের ঘোষণায় ‘বিমর্ষ’ জিতেন

বাবুলের রাজনীতি ছাড়ার খবরে দৃশ্যতই মুষড়ে পড়েছেন জিতেন। বলছেন, ‘‘ওঁর ফেসবুক পোস্টের খবর সংবাদমাধ্যমে জানলাম। আসানসোলের ভাল হল না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১ ১৯:১৫
Share:

বাবুল সুপ্রিয় ও জিতেন তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র

আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণায় মুষড়ে পড়েছেন খনি শহরেরই আর এক বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলছেন, ‘‘আসানসোলের সাংসদ হিসাবে ওঁর অনেক কিছু দেওয়ার আছে।’’ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন জিতেন। ঘটনাচক্রে সেই সময় জিতেনের পদ্মশিবিরে প্রবেশে অন্যতম কাঁটা হয়ে উঠেছিলেন বাবুলই। যদিও সেই ইতিহাস এড়িয়ে জিতেন বলছেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ ছিল না। সেটা আমি জানি।’’

Advertisement

বাবুলের রাজনীতি ছাড়ার খবর পেয়ে দৃশ্যতই মুষড়ে পড়েছেন জিতেন। তিনি বলছেন, ‘‘ওঁর ফেসবুক পোস্টের খবর সংবাদমাধ্যমে জানলাম। এটা কোনও মতেই আসানসোলের জন্য ভাল হল না। গত ২৬ তারিখ ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। আমি জানতে চাইলাম, ‘দাদা কবে আসছ?’ তখন উনি বললেন, ‘আমি যাব। আবার একসঙ্গে ঘুরব।’ কেন এটা হল জানি না। যত ক্ষণ কথা না হচ্ছে তত ক্ষণ বলতে পারব না। তবে উনি রাজনৈতিক পরিসরে থাকলেই ভাল হয়। সাংসদ হিসাবে আসানসোল হিসাবে ওঁর অনেক দেওয়া আছে।’’

জিতেন আরও বলছেন, ‘‘আমি মনেপ্রাণে চাইব উনি যেন সাংসদ পদ যেন না ছাড়েন। রাজনীতি যেন না ছাড়েন। কী কারণে এটা হল এটা সঠিক ভাবে উনি বলতে পারবেন। আমি তা জানার চেষ্টা করব। আমরা চাইব, উনি যেন সাংসদ থাকেন।’’ রাজনীতির পরিসর থেকে বাবুলের সরে যাওয়া নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সঙ্গে জিতেনের পুরনো বিতর্কের কথা উঠে এসেছে। তা নিয়ে জিতেনের ব্যাখ্যা, ‘‘বাড়িতে পাঁচটা ভাই থাকলে তাঁদের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে থাকে। ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ ছিল না। সেটা আমি জানি। আমি কোনও ভাবেই এর কারণ নই।’’

Advertisement

রাজনীতির মাঠ থেকে বাবুলের বিদায় নিয়ে আসানসোলে বাবুলের প্রতিপক্ষ শিবির অবশ্য উৎসাহী। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের নেতা তথা আসানসোল পুর নিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা আরও আগে হলে আসানসোলের ভাল হত। ওঁর রাজনৈতিক জীবনে সেরা উপহার দিয়েছেন আসানসোলে হিন্দুস্তান কেবলস এবং বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের মতো কারখানা বন্ধ করেছেন। শিল্পাঞ্চলের মানুষের জন্যে কোনও কাজ করেননি। মানুষ ওঁকে ভোট দিয়ে আফশোস করেছে। ওঁর রাজনৈতিক নেতৃত্বই ওঁকে সন্ন্যাসে পাঠাল। ওঁর অহমিকা ছিল। মন্ত্রিত্ব থেকে সরে গিয়েছেন। তাই রাজনীতি থেকেও সরে গেলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement