প্রতীকী চিত্র।
কয়লার চোরা কারবারে অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডলের ভ্রাতৃবধূর উপরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল জয়দেবেরই এক ভাই এবং ভাইপোর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা হল বুদ্ধদেব মণ্ডল ও তার ছেলে প্রদীপ মণ্ডল। বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারা সম্পর্কে গুলিবিদ্ধ মহিলা চৈতালি মণ্ডলের ভাসুর ও ভাসুরপো। শনিবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানায়, তারা পলাতক। গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করা যায়নি।
শুক্রবার বিকেলে সেন-র্যালের বি ব্লকের একটি বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তাতে জখম হন চৈতালি মণ্ডল। স্থানীয় বাসিন্দারা চৈতালিকে উদ্ধার করে আসানসোলের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে, পুলিশ মহিলাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে নিজেদেরই বাড়িতে বুদ্ধদেব ও প্রদীপের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। অবস্থা চরমে উঠছে দেখে, বিবাদ থামাতে এগিয়ে যান চৈতালি। সে সময়েই গুলি চলে বলে অভিযোগ। তাতে জখম হন চৈতালি। গুলি কে চালিয়েছে? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, প্রদীপের হাতে থাকা রিভলভার থেকেই গুলি বেরিয়েছে।
এ দিকে, সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো একটি ছবিতে (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) দেখা যাচ্ছে, নম্বরবিহীন একটি মোটরবাইকের পাশে হাতে রিভলভার ও মুখে সিগারেট নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক যুবক। ছবিতে থাকা ওই যুবক প্রদীপ বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।স্থানীয় বাসিন্দারা আরও দাবি করেছেন, এলাকায় প্রদীপের বেশ ‘দাপাদাপি’ রয়েছে। সে সব সময়েই কোমরে রিভলভার গুঁজে চলাফেরা করে। দ্রুত গতিতে, ‘বেপরোয়া’ ভাবে মোটরবাইক চালায়। পথচারি বা স্থানীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করে। পুলিশের কাছে বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, জয়দেব মণ্ডলের ভাইপো পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের ক্ষমতা দেখানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) দেখার পরেও কেন পুলিশ এত দিন ব্যবস্থা নেয়নি? পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।