Bardhaman

গরমে ভিড় কম বাজার-মেলায়

পয়লা বৈশাখের জন্য প্রতি বারই এই দিনটিতে হাট-বাজার, দোকানগুলিতে প্রচুর ভিড় জমতে দেখা যায়। গ্রাম থেকে গণেশ মূর্তি কেনার জন্য অনেকেই আসেন শহরের বিভিন্ন বাজারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা, বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৩১
Share:

তপ্ত পথে। কালনায়। নিজস্ব চিত্র

ঘড়ির কাঁটা বেলা ১১টার দিকে এগোতেই অনুভূত হচ্ছে গরম হাওয়ার ঝাপটা। বিকেল পর্যন্ত তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪১ ডিগ্রির আশপাশে। বাংলা বছরের শেষ দিনে গরমে হাঁসফাঁস করেই কাটল জেলার মানুষজনের।

Advertisement

পয়লা বৈশাখের জন্য প্রতি বারই এই দিনটিতে হাট-বাজার, দোকানগুলিতে প্রচুর ভিড় জমতে দেখা যায়। গ্রাম থেকে গণেশ মূর্তি কেনার জন্য অনেকেই আসেন শহরের বিভিন্ন বাজারে। এ দিন কালনা শহরের চকবাজার, জিউধারা এলাকার আরএমসি বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, সকালে কিছুটা ভিড় থাকলেও, বেলা বাড়তেই লোকজন কমতে থাকে। বেলা ১২টার পরে কম মানুষজনই বাইরে বেরিয়েছেন। দুপুরে এসটিকেকে রোডে যান চলাচল করেছে তুলনায় কম। চড়ক উপলক্ষে কৃষ্ণদেবপুর, কালনার চড়কতলা, কবিলপাড়া-সহ বহু এলাকাতেই এই দিনটিতে দুপুরে ভিড় জমে। চড়া গরমে চড়ক শুরু হতে বিকেল গড়িয়ে যায়। বিকেল ৫টার পর থেকে চড়কের মেলাগুলিতে লোকজনের ভিড় জমে।

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কালনা শহরে এসেছিলেন ধান-চালের ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বার এই দিনটিতে নতুন খাতা, পুজোর জন্য মূর্তি-সহ বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করতে হয়। এ বার জিনিসপত্র কিনে বেলা ১২টা নাগাদ কালনা ২ ব্লকে নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময়ে গরম বাতাস ঝাপটা দিচ্ছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কয়েক বার রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে হয়েছে।’’ তাপপ্রবাহের জন্য মেমারি থানার তরফে রাস্তায় কর্মরত পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, গাড়ির চালক-খালাসি ও পথচলতি মানুষদের জন্য এ দিন ফলের রস ও জলের ব্যবস্থা করা হয়। ছিলেন এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী, ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়েরা। পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জেলারপ্রতিটি থানাকে এই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

তীব্র রোদ-গরমে সমস্যায় পড়েছেন খেতমজুরেরা। আনাজ চাষি মহম্মদ রিয়াজ বলেন, ‘‘আনাজের জমি শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে। সকালে চার জন খেতমজুর জমিতে জল দেওয়ার কাজ শুরু করলেও, বেলা ১১টার পরে এত গরম পড়ে যে সান স্ট্রোকের আশঙ্কায় ওঁদের জমি থেকে উঠে আসতে বলি।’’ কৃষি দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখনই বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। ফলে, তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে চাষিদের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement