প্রতীকী ছবি।
এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকার বাসিন্দা বিনোদ সাউ আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর স্ত্রী গীতা সাউ বর্ধমান থানায় শহর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দর শর্মা ওরফে তেতরা ও তাঁর দুই ছেলে-সহ সাত জনের নামে এফআইআর দায়ের করেছেন।
গীতাদেবী অভিযোগে জানিয়েছেন, বুধবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ বিনোদ মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকার খাটালের কাছে হনুমান মন্দির এলাকায় তাঁকে অতর্কিতে আক্রমণ করেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের হাতে তরোয়াল, রিভলভার, লোহার রড, ছুরি ছিল বলে অভিযোগ। গীতাদেবী জানিয়েছেন, বেধড়ক মারার পরে বিনোদ অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। আপাতত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন তিনি। হাসপাতালের শয্যা থেকে বিনোদের দাবি, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল।’’
যদিও শহর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দর শর্মার দাবি, এই ঘটনায় তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। বুধবার রাতে তাঁর ছেলে বিহার থেকে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ফেরেন। তাঁকে আনতে ওই বর্ধমান স্টেশনে ছিলেন বলেও তাঁর দাবি। সুরেন্দর জানান, লক্ষ্মীপুর মাঠে ১৯৯৮ সালে এবং ২০২০ সালে দু’টি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন বিনোদ সাউ। সেই ঘটনায় তাঁরা নিহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।