ফাইল ছবি
বিভিন্ন মাপকাঠিতে পশ্চিম বর্ধমান রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় পিছিয়ে কেন, নেতাজি ইন্ডোরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে এমল প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কোন পথে হবে উন্নয়ন? পশ্চিম বর্ধমান জেলার ব্যবসায়ীদের দাবি, জেলাকে উন্নত করতে গেলে শিল্পে জোর দিতে হবে। এ জন্য প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।
তাঁদের মতে, শহরে যানজট মুক্ত করতে ফ্লাইওভার বানাতে হবে। শিল্পরে জন্য জমি অধিগ্রহণে সমস্যা যেন না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। একটি বিদ্যুৎ সংস্থার ডিরেক্টর সোমেশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘রাজ্যে একমাত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিদ্যুতের যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যান্য জেলা থেকে বিদ্যুৎ অনেকটাই সস্তা। শিল্পের জন্য বহু জমি রয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে। রয়েছে জাতীয় সড়ক, রেল লাইন। হেলিপ্যাড ও বিমানবন্দর রয়েছে। জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা— কারণ জেলার এক প্রান্তে অজয় অন্য প্রান্তে দামোদর যেমন রয়েছে পাশাপাশি শহর বরাবর রয়েছে ছোট ছোট অনেক নদী যা এই শহরেই উৎপত্তি হয়েছে। আবার এই শহরেই বড় নদীর সঙ্গে গিয়ে মিশেছে।’’ ফলে শিল্প উন্নয়নের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
শিল্পপতি বিজয় শর্মা জানান, তাঁদের বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। কারখানায় বহু শ্রমিক কাজ করেন। আরও কারখানা হতে পারে এই এলাকায়, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা যদি কিছু থাকে তার সমাধান করতে হবে।
আসানসোল চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক শম্ভুনাথ ঝা বলেন, ‘‘আসানসোল ও দুর্গাপুর পৌরনিগম, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের মতো জায়গায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রাখতে হবে। বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধানের উপায় তাদের কাছে নিতে হবে নিতে হবে বিভিন্ন রকম পরামর্শ। তা হলেই উন্নত হবে আমাদের এই জেলা।’’
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হরিনারায়ন মিশ্র বলেন, ‘‘শহরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’’
শিল্পপতি আরপি খৈতান বলেন, ‘‘একটা মাস্টার প্ল্যান করতে হবে শহরকে উন্নত করে তোলার জন্য। যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন সর্ব স্তরের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করে উন্নয়নের কথা বলতে হবে।”