Cow Smuggling Case

গরু পাচার মামলায় ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে ইডি, ঝুলেই রইল দিল্লি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া

গরু পাচার মামলায় এখন তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত এবং সহগল। একই মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এছাড়া আগেই গ্রেফতার হন এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০৩
Share:

অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন। —ফাইল চিত্র।

গরু পাচার মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইডির তোড়জোড় আবার ধাক্কা খেল আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন সংক্রান্ত মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন এই মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান? বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এই প্রশ্নের মুখে পড়েন ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। বিচারক জানতে চান, কোন আইনে এবং কে এই মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অধিকার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়েছে।

Advertisement

শনিবার গরু পাচার সংক্রান্ত মামলায় ইডিকে বিচারকের প্রশ্ন, ‘‘কোনও মামলা কি ইচ্ছে করলেই যে কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি, যে কোনও রাজ্যের আদালতে নিয়ে যেতে পারে?’’ আদালত আরও বলে, ‘‘পিএমএলএ বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের মামলা যে ইডি করবে, তার সরকারি নির্দেশ বা গেজেট নোটিফিকেশন কি ইডির কাছে আছে?’’ ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আইনের একাধিক ধারার উল্লেখ করে আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন। এর বিরোধিতা করেন অনুব্রতের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু এবং আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ।

উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় এখন তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত এবং সহগল। একই মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এ ছাড়া আগেই গ্রেফতার হন এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে ৪৪(১/সি) নম্বর ধারায় এই মামলা স্থানান্তরের জন্য আবেদন করে ইডি। দুই দফায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হয়। কিন্তু গত ১৯ অগস্টের মতো শনিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই আবেদনের দ্বিতীয় শুনানির দিনেও কার্যত ধাক্কা খেল ইডি। ১৯ অগস্টের মতো শনিবারও আসানসোলে সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক ইডির বেশ কিছু প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষজনক কিছু পায়নি। শেষ পর্যন্ত বিচারক ইডির আইনজীবীকে আরও সময় দেন। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারক জানান, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর।

Advertisement

শুনানির পর অনুব্রতের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, ‘‘আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। শনিবার সেই মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল। ইডির আইনজীবী বিচারকের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।’’ অন্য দিকে, ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘মামলা নিয়ে বিচারক ৬ তারিখে পুনরায় শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সে দিন বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement