অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্দল হিসেবে ভোট দাঁড়ানো নেতাদের দলে ফেরানো নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের কর্মিসভায় সরব হলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ। আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচন নিয়ে ওই ডাকা ওই সভায় কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে অস্বস্তিতে পড়ল শাসকদল।
নির্দল হিসেবে দাঁড়ানো বহু নেতাকেই পুরসভা নির্বাচনের সময় দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, ওই বহিষ্কৃত নেতাদের আর দলে ফেরানো হবে না। এর পরেও কেন তাঁদের কেন দলের ফেরানো হচ্ছে, এ নিয়েই ওই কর্মিসভায় প্রশ্ন তোলেন দলের কর্মীদের একাংশ। কারও কারও অভিযোগ, দলের পুরনো কর্মীদেরই পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নতুনদের।
আসানসোলে ভোটের দায়িত্বে থানা অনুব্রত শুরু থেকেই সভায় ছিলেন। তাঁর নির্দেশে বিক্ষোভকারী কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন সভায় উপস্থিত থাকা আসানসোলের পুর-চেয়ারম্যান বিধান উপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু, কুলটি বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্য তৃণমূল সহ-সভাপতি উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়রা। তাতেও কোনও কাজ না-হওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত করতে অনুব্রতকেই মাইক হাতে তুলে নিতে হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের অন্য একটি নিয়ে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত।
পরে ওই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা হয়। আবার মিটেও যায়। এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার আহ্বান জানিয়েছি সবাইকে।’’
এ নিয়ে বিজেপি-র আসানসোল জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের নীতি, আদর্শ বলতে কিছু নেই। পিসি-ভাইপোর সিন্ডিকেট। পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হয়। তাই এ ধরনের অশান্তি নতুন কিছু নয়।’’