ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস দিয়েছিলেন। তার পরই স্ত্রীর ‘আপত্তিকর’ ছবি ফেসবুকে দেওয়ার হুমকি দেন স্বামী। স্ত্রীর অভিযোগ, শুধু হুমকি দেওয়াই নয়, সেই সব ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। এতে ওই তরুণী সামাজিকভাবে অসম্মানিত হয়েছেন বলেও পুলিশে অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। অপমানিত বধূ তাঁর স্বামী কামাল শেখের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করে মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কামালের বাড়ি মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম এলাকায়। রেজিস্ট্রি করে এলাকার বছর কুড়ির ওই তরুণীকে বিয়ে করেন কামাল। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এখন মন্তেশ্বর কলেজে পড়েন। কামাল নিজেকে উচ্চশিক্ষিত বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন। সেই কথা তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে রেজিস্ট্রি করে তাঁর সঙ্গে কামালের বিয়ে হয়। যদিও বিয়ের পর তিনি বাপের বাড়িতেই থাকতেন। কিছু দিন যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, কামাল স্কুলের গণ্ডিও পেরোননি। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ‘মিথ্যা কথা’ বলে তাঁকে বিয়ে করেছেন কামাল।
তাই তিনি স্বামীকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠান। আর তার পরেই কামাল বেঁকে বসেন।
তরুণীর দাবি, ডিভোর্সের নোটিস পাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে হাজির হয়ে কামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পাশাপাশি, হুমকি দিয়ে বলেন, তাঁর যে সব ‘আপত্তিকর’ ছবি তিনি তুলে রেখেছিলেন, সেগুলি ফেসবুকে ছেড়ে দেবেন। হুমকি মতোই কামাল সেই কাজটাই করেছেন বলে তরুণীর দাবি। এর জন্য তিনি সামাজিক ভাবে অসম্মানিত হয়েছেন বলেও ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন।
মন্তেশ্বর থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’