—প্রতীকী চিত্র।
অতিরিক্ত পণের টাকা ও মোটরবাইক দিতে না পারায় বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম রাহেলা কারিকর (২০)। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার সিঙ্গারকোণে। বৃহস্পতিবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল পুলিশ মর্গে বধূর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। কালনা থানার পুলিশ বধূ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কালনার সিঙ্গারকোণ এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রহমান। মাস দেড়েক আগে তার সঙ্গে বিয়ে হয় নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার কারিকর পাড়ার যুবতী রাহেলা কারিকরের। বধূর বাবার বাড়ির লোকজন জানান, রাহেলার বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের দাবি মতো তারা দু’-ভরি সোনার গয়না-সহ আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে অতিরিক্ত পণের দাবি করে জামাইয়ের বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, অতিরিক্ত টাকা ও নতুন মোটর বাইক কিনে দেওয়ার জন্য জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকজন রাহেলার উপর চাপ সৃষ্টি করতেন। মানসিক নির্যাতনও চালানো হত বলে অভিযোগ। বধূর পরিবারের লোকজন অভিযোগে এও জানান, তাদের কোনও খবর না দিয়েই রাহেলার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় শ্বশুর বাড়ির সদস্যেরা ।
বধূর বাবা ফুরফত আলি কারিকর বলেন, “আমার হাত ভেঙে যাওয়ায় মেয়ে আমাকে দেখতে যাবে বলেছিল। কিন্তু আর আসতে পারল না। আমার মেয়েকে মারধর করত জামাই ও তাঁর বাড়ির লোকজন। ওরাই আমার মেয়ে রাহেলাকে মেরে ফেলেছে। মেয়ের গায়ে ও গলায় দাগ রয়েছে। রাহেলাকে খুন করা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বধূর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।