লটারির টিকিট। —নিজস্ব চিত্র।
লটারির টিকিট কাটা অনেকেরই ‘নেশা’। কেউ কেউ তো তো আবার জেতার আশায় নিয়মিত লটারির টিকিট কাটেন। কখনও ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে, বেশির ভাগ সময়েই জয়ের আশা ত্যাগ করতে হয় তাঁদের। পাড়ার মোড়ে মোড়ে লটারি দোকান চোখে পড়ে। কিন্তু সেই লটারির ভিড়েই দাপিয়ে চলছে জাল লটারি টিকিটের কারবার! প্রকাশ্যে দিবালোকে অবাধেই বিক্রি হচ্ছে জাল লটারির টিকিট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের কুলটিতে।
লটারির টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির মধ্যে ‘ডিয়ার লটারি’ বাংলায় খুবই জনপ্রিয়। প্রতিটি দোকানেই এই সংস্থার লটারির টিকিট পাওয়া যায়। অভিযোগ, এই ‘ডিয়ার লটারি’র আড়ালেই রমরমিয়ে চলছে জাল লটারি টিকিটের কারবার। আসানসোলের কুলটি থানার লছিপুর গেট এলাকায় লুকিয়ে জাল লটারির টিকিট বিক্রি করছেন কয়েক জন দোকানি। সেই লটারির চলতি নাম ঝাড়খণ্ড লটারি। অভিযোগ, রাজ্যের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমানা এলাকায় এই ধরনের বেআইনি কাজই হয়। শুধু লছিপুর নয়, ওই অঞ্চলে আরও কয়েকটি জায়গায় এই ধরনের কারবার চলে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডিয়ার লটারির সঙ্গে জাল লটারির টিকিট বিক্রি করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ডিয়ার লটারির সঙ্গে একই টেবিলে ছড়িয়ে রেখে ঝাড়খণ্ড লটারির টিকিট বিক্রি করেন তাঁরা। প্রশ্ন করলেই এড়িয়ে যান বিক্রেতারা। এমনকি ক্যামেরা দেখলেই জাল লটারির টিকিট লুকিয়ে ফেলেন তাঁরা। বিক্রেতাদের একাংশের কথায়, ‘‘অতিরিক্ত লাভের কারণে এই জাল লটারির টিকিট বিক্রি করছি। আমরা তো ছোটখাটো বিক্রেতা। আসল ডিলারদের গিয়ে ধরুন।’’
অন্য দিকে, জেলায় জেলায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি ভাবে লটারির টিকিট বিক্রির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, লটারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে একাধিক নথি ও জাল লটারির টিকিট বাজেয়াপ্তও হয়েছে। সেই আবহেই এ বার আসানসোলের জাল লটারির কারবারের খবর প্রকাশ্যে এল।